গাজার মধ্যাঞ্চলের একটি ব্যস্ত বাজারে ইসরাইলি হামলায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা অঞ্চল জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেক ফিলিস্তিনি।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে দিয়েছে যে গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) জানিয়েছে, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কোনো সাহায্য গাজায় প্রবেশ করেনি।
দক্ষিণ লেবাননে সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময় এক লাখ ১৩ হাজার ৯১০ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃত্যুর সংখ্যা আপডেট করে ৬১ হাজার ৭০০ এরও বেশি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনেরও বেশিকে বন্দি করা হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আকস্মিক বিমান হামলা শুরু করে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৮৩০ জন নিহত এবং প্রায় ১,৮০০ জন আহত হয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজি)-এ ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান।