ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নোয়াখালীতে বন্যার্তদের সহযোগিতায় হেল্পলাইন চালু করলো ছাত্রশিবির Logo এডমিট কার্ডে একাধিক বিষয়ে ভুল, আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৮৬ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত Logo দোহারে ডাকাতির মামলার ০৪ জন আসামী গ্রেফতার Logo গোবিন্দগঞ্জে গভীর রাতে যৌথ অভিযানে ১০ জুয়াড়ি আটক Logo অনুপ্রবেশের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার Logo ফেনীতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা Logo ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছে বিবিসি Logo মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত,প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম Logo চবি ছাত্রশিবিরের নতুন নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী,পারভেজ Logo সাটুরিয়ায় গ্রেফতারকৃত আওয়ামীলীগ নেতাদের ছিনিয়ে নিতে এসে আরো ৪ জন গ্রেফতার

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকিদাতা কে এই মুজিবুল হক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 487

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে গত সোমবার (৬ নভেম্বর) হরতালবিরোধী মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী। বক্তব্যটি তিনি নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। সমাবেশে তাঁর দেওয়া সাড়ে ১৮ মিনিটের বক্তব্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ফেসবুকের ওই ভিডিও ৩ হাজার ৮০০ জন দেখেছেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করেন।

পিটার হাসকে পিটানোর হুমকি দেওয়া মুজিবুল হক চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ইভিএম বোতাম চেপে দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে তাঁর লোক থাকবে বলে আলোচনায় আসেন। তখন থেকে তিনি ‘টিপ মারা মুজিব’ নামে পরিচিতি পান।

তিনি গত বছরের ১২ অক্টোবর চাম্বল ইউনিয়নের দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে গত ১৫ জুন চাম্বল ছাড়া বাঁশখালীর সব কটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনের প্রচারণার সময় চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী দফায় দফায় বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তাঁর ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।

প্রথমবার নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর গত বছরের ২৮ মে মুজিবুল হক চৌধুরী এক সভায় ‘বাটন টিপে দিতে কেন্দ্রে আমার লোক থাকবে’ মন্তব্য করেন। এরপর গত বছরের ২ জুন পুনরায় মুজিবুল হক চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘আমরা বললে সুষ্ঠু, আমরা না বললে অসুষ্ঠু। আঙুল তোমার, টিপ দেব আমি।’ তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য ভোটের মাঠে পুনরায় ঝড় তোলে। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি মুজিবের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মুজিবুল হক চৌধুরী ‘টিপ মারা মুজিব’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াখালীতে বন্যার্তদের সহযোগিতায় হেল্পলাইন চালু করলো ছাত্রশিবির

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকিদাতা কে এই মুজিবুল হক

আপডেট সময় ১১:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে গত সোমবার (৬ নভেম্বর) হরতালবিরোধী মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী। বক্তব্যটি তিনি নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। সমাবেশে তাঁর দেওয়া সাড়ে ১৮ মিনিটের বক্তব্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ফেসবুকের ওই ভিডিও ৩ হাজার ৮০০ জন দেখেছেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করেন।

পিটার হাসকে পিটানোর হুমকি দেওয়া মুজিবুল হক চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ইভিএম বোতাম চেপে দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে তাঁর লোক থাকবে বলে আলোচনায় আসেন। তখন থেকে তিনি ‘টিপ মারা মুজিব’ নামে পরিচিতি পান।

তিনি গত বছরের ১২ অক্টোবর চাম্বল ইউনিয়নের দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে গত ১৫ জুন চাম্বল ছাড়া বাঁশখালীর সব কটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনের প্রচারণার সময় চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী দফায় দফায় বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তাঁর ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।

প্রথমবার নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর গত বছরের ২৮ মে মুজিবুল হক চৌধুরী এক সভায় ‘বাটন টিপে দিতে কেন্দ্রে আমার লোক থাকবে’ মন্তব্য করেন। এরপর গত বছরের ২ জুন পুনরায় মুজিবুল হক চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘আমরা বললে সুষ্ঠু, আমরা না বললে অসুষ্ঠু। আঙুল তোমার, টিপ দেব আমি।’ তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য ভোটের মাঠে পুনরায় ঝড় তোলে। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি মুজিবের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মুজিবুল হক চৌধুরী ‘টিপ মারা মুজিব’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।