ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বগুড়ায় এসএসসি/দাখিল পরিক্ষায় জিপিএ ৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির Logo সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে সুবিপ্রবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ Logo দ্বীপ হাতিয়াকে উন্নয়নের মডেল গড়ার ঘোষণা দিলেন জামায়াত নেত এ্যাড. শাহ মাহফুজ Logo মেহরিন চৌধুরীর নামে অ্যাওয়ার্ড চালু করবে সরকার : প্রেসসচিব Logo শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ Logo শ্রীপুরে স্ত্রীকে হত্যা,মাদক কারবারি স্বামীর বাড়ি পুড়িয়ে দিল গ্রামবাসী Logo টঙ্গীতে জমির দখল নিয়ে দুই ভাইয়ের সংঘর্ষ, আহত ৩, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo তালিকা থেকে জুলাই শহিদের ৮ জনের নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ Logo দেশে বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, ভারি বর্ষণ হবে টানা ৫ দিন যে অঞ্চলে Logo পিকআপ ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৩

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকিদাতা কে এই মুজিবুল হক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 497

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে গত সোমবার (৬ নভেম্বর) হরতালবিরোধী মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী। বক্তব্যটি তিনি নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। সমাবেশে তাঁর দেওয়া সাড়ে ১৮ মিনিটের বক্তব্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ফেসবুকের ওই ভিডিও ৩ হাজার ৮০০ জন দেখেছেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করেন।

পিটার হাসকে পিটানোর হুমকি দেওয়া মুজিবুল হক চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ইভিএম বোতাম চেপে দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে তাঁর লোক থাকবে বলে আলোচনায় আসেন। তখন থেকে তিনি ‘টিপ মারা মুজিব’ নামে পরিচিতি পান।

তিনি গত বছরের ১২ অক্টোবর চাম্বল ইউনিয়নের দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে গত ১৫ জুন চাম্বল ছাড়া বাঁশখালীর সব কটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনের প্রচারণার সময় চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী দফায় দফায় বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তাঁর ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।

প্রথমবার নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর গত বছরের ২৮ মে মুজিবুল হক চৌধুরী এক সভায় ‘বাটন টিপে দিতে কেন্দ্রে আমার লোক থাকবে’ মন্তব্য করেন। এরপর গত বছরের ২ জুন পুনরায় মুজিবুল হক চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘আমরা বললে সুষ্ঠু, আমরা না বললে অসুষ্ঠু। আঙুল তোমার, টিপ দেব আমি।’ তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য ভোটের মাঠে পুনরায় ঝড় তোলে। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি মুজিবের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মুজিবুল হক চৌধুরী ‘টিপ মারা মুজিব’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় এসএসসি/দাখিল পরিক্ষায় জিপিএ ৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকিদাতা কে এই মুজিবুল হক

আপডেট সময় ১১:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে গত সোমবার (৬ নভেম্বর) হরতালবিরোধী মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী। বক্তব্যটি তিনি নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। সমাবেশে তাঁর দেওয়া সাড়ে ১৮ মিনিটের বক্তব্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ফেসবুকের ওই ভিডিও ৩ হাজার ৮০০ জন দেখেছেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করেন।

পিটার হাসকে পিটানোর হুমকি দেওয়া মুজিবুল হক চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ইভিএম বোতাম চেপে দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে তাঁর লোক থাকবে বলে আলোচনায় আসেন। তখন থেকে তিনি ‘টিপ মারা মুজিব’ নামে পরিচিতি পান।

তিনি গত বছরের ১২ অক্টোবর চাম্বল ইউনিয়নের দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে গত ১৫ জুন চাম্বল ছাড়া বাঁশখালীর সব কটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনের প্রচারণার সময় চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী দফায় দফায় বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তাঁর ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।

প্রথমবার নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর গত বছরের ২৮ মে মুজিবুল হক চৌধুরী এক সভায় ‘বাটন টিপে দিতে কেন্দ্রে আমার লোক থাকবে’ মন্তব্য করেন। এরপর গত বছরের ২ জুন পুনরায় মুজিবুল হক চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘আমরা বললে সুষ্ঠু, আমরা না বললে অসুষ্ঠু। আঙুল তোমার, টিপ দেব আমি।’ তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য ভোটের মাঠে পুনরায় ঝড় তোলে। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি মুজিবের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মুজিবুল হক চৌধুরী ‘টিপ মারা মুজিব’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।