ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

  • মোশারফ
  • আপডেট সময় ০৮:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • 43

কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই। আমদানিরও দরকার নেই, বরং চাহিদার বেশি উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, “কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এবার প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বরং যে চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা যদি বেড়েও যায় সেটা পূরণ করার মতো সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।”

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (৪ মে) সচিবালয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল বা পরিবহন নিশ্চিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরূপণ করেছে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “এ বছর কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্ট গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্য প্রজাতিসহ মোট এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এ বছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আমরা মোটামুটি অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছি। সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি যে, গবাদি পশুর যে বাজার সেটা যেন স্থিতিশীল থাকে। খামারিরা বছরের একটা সময় ইনকামের জন্য যে কাজটা করে সেটা যেন ঠিক থাকে। অন্যদিকে যারা কোরবানি দেবেন পশুর দাম যেন তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমদানির প্রয়োজন নেই, নিয়ন্ত্রণ করা হবে চাঁদাবাজি।”

এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “অবৈধ পথেও যেন কোনো পশু বাংলাদেশ থেকে আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করব। আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা করেন, তা যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

আপডেট সময় ০৮:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই। আমদানিরও দরকার নেই, বরং চাহিদার বেশি উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, “কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এবার প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বরং যে চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা যদি বেড়েও যায় সেটা পূরণ করার মতো সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।”

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (৪ মে) সচিবালয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল বা পরিবহন নিশ্চিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরূপণ করেছে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “এ বছর কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্ট গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্য প্রজাতিসহ মোট এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এ বছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আমরা মোটামুটি অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছি। সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি যে, গবাদি পশুর যে বাজার সেটা যেন স্থিতিশীল থাকে। খামারিরা বছরের একটা সময় ইনকামের জন্য যে কাজটা করে সেটা যেন ঠিক থাকে। অন্যদিকে যারা কোরবানি দেবেন পশুর দাম যেন তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমদানির প্রয়োজন নেই, নিয়ন্ত্রণ করা হবে চাঁদাবাজি।”

এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “অবৈধ পথেও যেন কোনো পশু বাংলাদেশ থেকে আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করব। আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা করেন, তা যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।”