ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জুলাই হামলায় অভিযুক্ত রুয়েট কর্মকর্তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদকে জুলাই মাসে সংঘটিত সহিংস ঘটনার অভিযোগে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে তাঁকে সনাক্ত করে আটক করা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। জানা যায়, মামুন-অর-রশিদ রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি রুয়েটের নিরাপত্তা শাখায় দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ের স্বচ্ছ টাওয়ারের সামনে ছাত্রদের ওপর পরিচালিত এক হামলায় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। মামুন-অর-রশিদ সেই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর বোয়ালিয়া থানায় তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন-অর-রশিদ স্বীকার করেন যে তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “তাকে পূর্বের এজাহারের ভিত্তিতে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার পরবর্তী সিদ্ধান্ত আদালত থেকে আসবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন কোনো ধরনের অনৈতিকতা বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবে না। বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এখানে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

এদিকে, মামুন-অর-রশিদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ আওয়ামীপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রশাসনের ওপর তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামুনের নিয়োগে সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠতা ভূমিকা রেখেছিল এবং তাঁর অতীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ

জুলাই হামলায় অভিযুক্ত রুয়েট কর্মকর্তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদকে জুলাই মাসে সংঘটিত সহিংস ঘটনার অভিযোগে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে তাঁকে সনাক্ত করে আটক করা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। জানা যায়, মামুন-অর-রশিদ রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি রুয়েটের নিরাপত্তা শাখায় দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ের স্বচ্ছ টাওয়ারের সামনে ছাত্রদের ওপর পরিচালিত এক হামলায় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। মামুন-অর-রশিদ সেই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর বোয়ালিয়া থানায় তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন-অর-রশিদ স্বীকার করেন যে তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “তাকে পূর্বের এজাহারের ভিত্তিতে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার পরবর্তী সিদ্ধান্ত আদালত থেকে আসবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন কোনো ধরনের অনৈতিকতা বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবে না। বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এখানে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

এদিকে, মামুন-অর-রশিদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ আওয়ামীপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রশাসনের ওপর তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামুনের নিয়োগে সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠতা ভূমিকা রেখেছিল এবং তাঁর অতীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে।