ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইথিক্যাল সাংবাদিকতা: নৈতিকতার আলোকে সংবাদপত্রের দায়িত্ব

ছবি: মুমিন মিল্লাত

ইথিক্যাল সাংবাদিকতা: নৈতিকতার আলোকে সংবাদপত্রের দায়িত্ব

সাংবাদিকতা সমাজের দর্পণস্বরূপ। এটি শুধু তথ্য সরবরাহ করে না, বরং জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের অবশ্যই কিছু নৈতিক নীতিমালার অনুসরণ করতে হয়, যা “ইথিক্যাল সাংবাদিকতা” নামে পরিচিত।
ইথিক্যাল সাংবাদিকতা বলতে বোঝায়—সত্যনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ, মানবিক ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশন। সাংবাদিকদের কাজ হলো এমনভাবে তথ্য উপস্থাপন করা যাতে সমাজ ও দেশ উপকৃত হয় এবং সত্যের বিকৃতি না ঘটে। মিথ্যা তথ্য, অতিরঞ্জন, গুজব বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী।
সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
১. সত্য ও নির্ভুলতা: তথ্য যাচাই না করে প্রকাশ করা অনৈতিক।
২. স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক চাপমুক্ত থেকে কাজ করতে হবে।
৩. নিরপেক্ষতা ও ভারসাম্য: পক্ষপাতহীনভাবে সব দিকের মতামত তুলে ধরা উচিত।
৪. মানবিকতা: সংবেদনশীল বিষয় উপস্থাপনে মানবিকতা ও সহানুভূতির প্রয়োগ জরুরি।
৫. দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা: ভুল হলে তা স্বীকার করে সংশোধন করা উচিত । জটিল বা প্যাচানো উচিৎ হবে না।

বর্তমানে প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে ভুয়া খবর ছড়ানো সহজ হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে নৈতিক সাংবাদিকতা আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, পেশাদার সাংবাদিকদের আরও সতর্ক হতে হবে যেন কার স্বার্থে না দেখে দেশের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
সাংবাদিকতা যদি নৈতিকতা বিসর্জন দেয়, তাহলে তা সমাজের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক সাংবাদিকতা চর্চা করা প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মীর প্রধান কর্তব্য।
উপসংহার:
ইথিক্যাল সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশাগত মানদণ্ড নয়, এটি সমাজের ন্যায়, সত্য ও গণতন্ত্র রক্ষার একটি হাতিয়ার। নৈতিক সাংবাদিকতার চর্চার মাধ্যমেই একটি সচেতন, তথ্যবহুল ও সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

 

 

মমিনুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক ঢাকা ভয়েস২৪.কম

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা

ইথিক্যাল সাংবাদিকতা: নৈতিকতার আলোকে সংবাদপত্রের দায়িত্ব

আপডেট সময় ০৪:৫২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

ইথিক্যাল সাংবাদিকতা: নৈতিকতার আলোকে সংবাদপত্রের দায়িত্ব

সাংবাদিকতা সমাজের দর্পণস্বরূপ। এটি শুধু তথ্য সরবরাহ করে না, বরং জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের অবশ্যই কিছু নৈতিক নীতিমালার অনুসরণ করতে হয়, যা “ইথিক্যাল সাংবাদিকতা” নামে পরিচিত।
ইথিক্যাল সাংবাদিকতা বলতে বোঝায়—সত্যনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ, মানবিক ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশন। সাংবাদিকদের কাজ হলো এমনভাবে তথ্য উপস্থাপন করা যাতে সমাজ ও দেশ উপকৃত হয় এবং সত্যের বিকৃতি না ঘটে। মিথ্যা তথ্য, অতিরঞ্জন, গুজব বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী।
সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
১. সত্য ও নির্ভুলতা: তথ্য যাচাই না করে প্রকাশ করা অনৈতিক।
২. স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক চাপমুক্ত থেকে কাজ করতে হবে।
৩. নিরপেক্ষতা ও ভারসাম্য: পক্ষপাতহীনভাবে সব দিকের মতামত তুলে ধরা উচিত।
৪. মানবিকতা: সংবেদনশীল বিষয় উপস্থাপনে মানবিকতা ও সহানুভূতির প্রয়োগ জরুরি।
৫. দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা: ভুল হলে তা স্বীকার করে সংশোধন করা উচিত । জটিল বা প্যাচানো উচিৎ হবে না।

বর্তমানে প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে ভুয়া খবর ছড়ানো সহজ হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে নৈতিক সাংবাদিকতা আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, পেশাদার সাংবাদিকদের আরও সতর্ক হতে হবে যেন কার স্বার্থে না দেখে দেশের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
সাংবাদিকতা যদি নৈতিকতা বিসর্জন দেয়, তাহলে তা সমাজের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক সাংবাদিকতা চর্চা করা প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মীর প্রধান কর্তব্য।
উপসংহার:
ইথিক্যাল সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশাগত মানদণ্ড নয়, এটি সমাজের ন্যায়, সত্য ও গণতন্ত্র রক্ষার একটি হাতিয়ার। নৈতিক সাংবাদিকতার চর্চার মাধ্যমেই একটি সচেতন, তথ্যবহুল ও সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

 

 

মমিনুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক ঢাকা ভয়েস২৪.কম