ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) অভিযোগ করেছে, ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত। এছাড়া খালিস্তানপন্থী নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততা রয়েছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)। তাই প্রতিষ্ঠানটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। মঙ্গলবার ইউএসসিআইআরএফ তাদের নতুন প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ ও সুপারিশ করেছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি নিয়মিত, চলমান এবং গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে জড়িত। ২০২৪ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছ থেকে ভোট আদায়ের জন্য মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করেছিল। এই অপকর্ম নির্বাচনের আগে এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই নজরদারি এবং সাম্প্রদায়িক আক্রমণকে উস্কে দেয়।

নির্বাচনের পরে বিজেপি সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার জন্য মানবাধিকার কর্মী, নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য আইনের অপব্যবহার করেছে। দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ অসংখ্য ভবন কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘুদের সম্পদ ধ্বংস ও বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিতর্কিত রাম মন্দিরটি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের উপর নির্মিত হয়েছিল এবং মন্দিরের পবিত্রীকরণের পরে সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ চালানো হয়েছিল। বিজেপি শাসিত ফেডারেল সরকার এবং তার প্রাদেশিক মিত্ররাও ইচ্ছামত ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাস করেছে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্টরা বিদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে শিখদের উপর আক্রমণে জড়িত। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল এবং অভিযোগ রয়েছে ‘র’ এর অভিযানের সময় তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালিস্তানপন্থি নেতাকে হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন বিকাশ যাদবসহ ‘র’ এজেন্টদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রে সংস্থার কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য কালো তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার

আপডেট সময় ১০:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) অভিযোগ করেছে, ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত। এছাড়া খালিস্তানপন্থী নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততা রয়েছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)। তাই প্রতিষ্ঠানটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। মঙ্গলবার ইউএসসিআইআরএফ তাদের নতুন প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ ও সুপারিশ করেছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি নিয়মিত, চলমান এবং গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে জড়িত। ২০২৪ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছ থেকে ভোট আদায়ের জন্য মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করেছিল। এই অপকর্ম নির্বাচনের আগে এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই নজরদারি এবং সাম্প্রদায়িক আক্রমণকে উস্কে দেয়।

নির্বাচনের পরে বিজেপি সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার জন্য মানবাধিকার কর্মী, নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য আইনের অপব্যবহার করেছে। দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ অসংখ্য ভবন কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘুদের সম্পদ ধ্বংস ও বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিতর্কিত রাম মন্দিরটি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের উপর নির্মিত হয়েছিল এবং মন্দিরের পবিত্রীকরণের পরে সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ চালানো হয়েছিল। বিজেপি শাসিত ফেডারেল সরকার এবং তার প্রাদেশিক মিত্ররাও ইচ্ছামত ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাস করেছে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্টরা বিদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে শিখদের উপর আক্রমণে জড়িত। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল এবং অভিযোগ রয়েছে ‘র’ এর অভিযানের সময় তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালিস্তানপন্থি নেতাকে হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন বিকাশ যাদবসহ ‘র’ এজেন্টদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রে সংস্থার কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য কালো তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।