ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিল ইরান Logo চেন্নাই- বেঙ্গালুরুসহ টিভিতে যা দেখবেন Logo উল্টো পথে চলা ট্রাক চাপায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু, চালক আটক Logo নির্বাচন হলে বিএনপি একাই ৯০ ভাগের বেশি আসন পাবে : হারুনুর রশিদ Logo পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করলো জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ Logo আপসকামী বিরোধী রাজনীতিবিদদের জন্য ৫ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়: নাহিদ ইসলাম Logo যমুনা সেতুতে নেই যানজট ২৪ ঘণ্টায় পারাপার প্রায় ৩৪ হাজার যানবাহন Logo পাঁচ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন Logo ইশরাককে মেয়র করায় ‘এমপি’ পদ দাবি করলেন হিরো আলম Logo এনসিপি কোনো এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন দল নয়-আখতার হোসেন

সেনাসদস্যকে অপহরণের পর নির্যাতন, বিএনপি-ছাত্রদলের ৩ নেতা কারাগারে

বরিশালে বালুমহাল ইজারা দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেনাসদস্যকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এ মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব থানার বাসিন্দা আব্দুল মতিন কাজী বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নূর হোসেন সুজন (৩৫), হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকার (৩৫) এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন (৪২)।

আর পলাতক আসামিরা হলেন- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম মিঠু, বরিশাল জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ রাঢ়ী, কাশিপুরের রুবেল, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল রিচমার্টের মালিকানা অংশীদার বেলায়েত হোসেন, গণপাড়ার বাসিন্দা মো. জাহিদ, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নিজামুর রহমান নিজাম, সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম।

মামলার বাদী মতিন কাজীর ব্যবসায়ীক অংশীদার ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষী আব্দুল বাসেত বলেন, বালুমহাল ইজারা নিতে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দরপত্র জমা দিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় যান তারা। এতে বাধা দেন আসামিরা। জোর করে দরপত্র জমা দিলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায় আসামিরা মতিনের ভাতিজা সেনাসদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অপহরণ করে লঞ্চঘাট এলাকায় রিচমার্ট হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, আইফোন এবং নগদ টাকা রেখে দেয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানোর পর সেনাবাহিনী রিচমার্ট হোটেলে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, ১৩ কোটি টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেঘনার বালুমহাল তারা ইজারা পেয়েছেন।

তবে মামলার অন্যতম আসামি মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক ফরিদা বেগম জানান, সোমবার প্রত্যুষে একদল যুবক তাদের চাঁদমারী বাসায় হানা দিয়ে তার দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।

দরপত্র ক্রয়কারী মফিজুল ইসলাম নামের আরেকজন অভিযোগ করে বলেছেন, সাড়ে ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার কেটেও দরপত্র জমা দিতে পারিনি। মেঘনার বালুমহাল পুনঃদরপত্রের জন্য আবেদন করব আমি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিসি ভবনে রিচমার্ট হোটেল থেকে আটক তিনজনকে মঙ্গলবার থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিল ইরান

সেনাসদস্যকে অপহরণের পর নির্যাতন, বিএনপি-ছাত্রদলের ৩ নেতা কারাগারে

আপডেট সময় ০৯:৩৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

বরিশালে বালুমহাল ইজারা দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেনাসদস্যকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এ মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব থানার বাসিন্দা আব্দুল মতিন কাজী বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নূর হোসেন সুজন (৩৫), হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকার (৩৫) এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন (৪২)।

আর পলাতক আসামিরা হলেন- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম মিঠু, বরিশাল জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ রাঢ়ী, কাশিপুরের রুবেল, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল রিচমার্টের মালিকানা অংশীদার বেলায়েত হোসেন, গণপাড়ার বাসিন্দা মো. জাহিদ, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নিজামুর রহমান নিজাম, সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম।

মামলার বাদী মতিন কাজীর ব্যবসায়ীক অংশীদার ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষী আব্দুল বাসেত বলেন, বালুমহাল ইজারা নিতে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দরপত্র জমা দিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় যান তারা। এতে বাধা দেন আসামিরা। জোর করে দরপত্র জমা দিলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায় আসামিরা মতিনের ভাতিজা সেনাসদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অপহরণ করে লঞ্চঘাট এলাকায় রিচমার্ট হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, আইফোন এবং নগদ টাকা রেখে দেয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানোর পর সেনাবাহিনী রিচমার্ট হোটেলে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, ১৩ কোটি টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেঘনার বালুমহাল তারা ইজারা পেয়েছেন।

তবে মামলার অন্যতম আসামি মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক ফরিদা বেগম জানান, সোমবার প্রত্যুষে একদল যুবক তাদের চাঁদমারী বাসায় হানা দিয়ে তার দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।

দরপত্র ক্রয়কারী মফিজুল ইসলাম নামের আরেকজন অভিযোগ করে বলেছেন, সাড়ে ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার কেটেও দরপত্র জমা দিতে পারিনি। মেঘনার বালুমহাল পুনঃদরপত্রের জন্য আবেদন করব আমি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিসি ভবনে রিচমার্ট হোটেল থেকে আটক তিনজনকে মঙ্গলবার থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।