ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo একাত্তরের স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রামিই চব্বিশ :মজিবুর রহমান মঞ্জু Logo নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন কঠিন : জোনায়েদ সাকি Logo রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সংস্কার ও বিচার ছাড়া ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা হলে জনগণ প্রতিরোধ করবে’-নাহিদ Logo সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন হলে সবাই এক হয়ে যাব: মির্জা আব্বাস Logo বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছে গুগল Logo যমুনা সেতু থেকে ‘২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায় Logo বিএনপির কার্যালয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা-ভাঙচুর- আহত ২ Logo শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি Logo খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই ১৬ দোকান

সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।

বাণীতে সেনাপ্রধান বলেন, আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনে এই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ১৯৭১ সালের এই দিনে এ দেশের মুক্তিকামী আপামর জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের চূড়ান্ত বিজয় এবং বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ কারণেই ২৬শে মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।

সেনা সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধেই নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও দেশের স্বার্থে দেশে এবং বিদেশে দায়িত্বরত অবস্থায় যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমি মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট সব শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীতে সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনীরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে যে কোনো অর্পিত দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সমর সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত বলেও জানান সেনাপ্রধান। বলেন, পরিকল্পিতভাবে এবং পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংযোজন এবং উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী এখন সুপ্রশিক্ষিত, দক্ষ এবং সদা প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য আগামী দিনগুলোতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ এবং দেশের মানুষের সেবায় নিবেদিতভাবে কাজ করে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

জনপ্রিয় সংবাদ

একাত্তরের স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রামিই চব্বিশ :মজিবুর রহমান মঞ্জু

সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

আপডেট সময় ০৪:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।

বাণীতে সেনাপ্রধান বলেন, আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনে এই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ১৯৭১ সালের এই দিনে এ দেশের মুক্তিকামী আপামর জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের চূড়ান্ত বিজয় এবং বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ কারণেই ২৬শে মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।

সেনা সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধেই নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও দেশের স্বার্থে দেশে এবং বিদেশে দায়িত্বরত অবস্থায় যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমি মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট সব শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীতে সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনীরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে যে কোনো অর্পিত দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সমর সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত বলেও জানান সেনাপ্রধান। বলেন, পরিকল্পিতভাবে এবং পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংযোজন এবং উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী এখন সুপ্রশিক্ষিত, দক্ষ এবং সদা প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য আগামী দিনগুলোতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ এবং দেশের মানুষের সেবায় নিবেদিতভাবে কাজ করে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।