ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালো খেলেও ভারতের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি হামজা চৌধুরীদের

হামজা চৌধুরীর অভিষেক ম্যাচ জয় দিয়েই রাঙাতে চেয়েছিলেন সতীর্থরা। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ২২ বছরের জয়খরাও কাটাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে সব ইচ্ছাই পূরণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মুজিবর রহমান জনি-মোহাম্মদ হৃদয়রা।

কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর বাংলাদেশের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা একের পর এক গোল যেভাবে মিস করলেন তাতে নিজেদের ওপর বিরক্তিই হওয়ার কথা তাদের।

কারণ, তাদের মিসের কারণেই গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ম্যাচেও ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এতে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২২ বছরের জয়খরা আর কাটানো হলো না বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০০৩ সালে ভারতের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল নিয়ে অবশ্য মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ। তবে বাঁ প্রান্ত থেকে ৮৯ মিনিটে ফয়সাল ফাহিমের মাটি কামড়ানো শটটা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতকে গোল হজম থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে রাকিব হোসেন আরেকটা সুযোগ পেলেন, কিন্তু তা-ও কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি।

৮৪ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতের ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রীও।

বাংলাদেশের বক্সে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে তার সামনে শুধু বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাই ছিলেন। বলকে যেকোনো এক প্রান্তের জালে রাখতে পারলেই গোলটা পেতে পারতেন তিনি। এই মিসের পর পরেই তাকে বদলি করেন ভারতীয় কোচ মানালো মার্কেস।
এর আগে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ফিনিশিংয়ের অভাবে লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

কিক অফের পর পরেই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই অবিশ্বাস্য সুযোগ মিস করে বসেন মুজিবুর রহমান জনি। ম্যাচের প্রথম মিনিটে ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ ভুল করে জনিকে পাস দেন। কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বাইরে শট মারেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার।

এমন সুবর্ণ মিসের পরে আরো কয়েকটি গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তার মধ্যে দুটি হেডের সুযোগ মিস করেন শাহরিয়ার ইমন। প্রথমটা ৯ মিনিটে ভারতের বক্সে ফ্রি হেডের সুযোগ পেয়েও পোস্টের পাশে নেন। আর ১৮ মিনিটেও জাল বরাবর হেডটা নিতে পারেনি প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া ইমন।

তারও আগে ১২ মিনিটে মিস করেন হৃদয়। শটন অবশ্য নিয়েছিলেন কিন্তু পাওয়ার না থাকায় শেষ মূহূর্তে গোললাইন থেকে বলকে কর্নারের বিনিময়ে ভারতকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার শুভাশীষ রায়। হৃদয়কে গোলের সুযোগ এনে দেওয়া ভুলটি করেছিলেন ৭ বছর পর ভারতের গোলবারে দাঁড়ানো গোলরক্ষক বিশাল। তার নেওয়া গোলকিক তপুর পেছনে লেগে বাঁ প্রান্তে বল পান হৃদয়। ফাঁকা পোস্টে মাটি কামড়ানো শটটা না নিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে মারলেই বাংলাদেশের নামের পাশে এক গোল থাকতে পারত।

ভারত প্রথম কোনো ভালো সুযোগ পায় ৩০ মিনিটের সময়। বাঁ প্রান্ত থেকে লিস্টোন কোলোসোর এরিয়াল বলে উদান্তা সিং হেড নিলে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার কোনো রকমে প্রতিহত করেন। তবে ফিরতি বল শট নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পায় ফারুক চৌধুরী। শটটা নিলেন কিন্তু পাওয়ার কম থাকায় তা তালুবন্দি করতে সমস্যা হয়নি গোলরক্ষক মিতুল মারমার।

বিরতিতে যাওয়ার ৪ মিনিট আগে বাংলাদেশকে লিড এনে দেওয়া সুযোগ পেয়েছিলেন জনি। কিন্তু সতীর্থের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে ডান প্রান্ত থেকে ভারতের বক্সে ঢোকার সময় শেষ স্পর্শ জোরে করায় গোলবার থেকে বেরিয়ে এসে গোলরক্ষক বিশাল দলকে রক্ষা করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছে গুগল

ভালো খেলেও ভারতের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি হামজা চৌধুরীদের

আপডেট সময় ১০:২২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

হামজা চৌধুরীর অভিষেক ম্যাচ জয় দিয়েই রাঙাতে চেয়েছিলেন সতীর্থরা। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ২২ বছরের জয়খরাও কাটাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে সব ইচ্ছাই পূরণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মুজিবর রহমান জনি-মোহাম্মদ হৃদয়রা।

কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর বাংলাদেশের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা একের পর এক গোল যেভাবে মিস করলেন তাতে নিজেদের ওপর বিরক্তিই হওয়ার কথা তাদের।

কারণ, তাদের মিসের কারণেই গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ম্যাচেও ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এতে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২২ বছরের জয়খরা আর কাটানো হলো না বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০০৩ সালে ভারতের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল নিয়ে অবশ্য মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ। তবে বাঁ প্রান্ত থেকে ৮৯ মিনিটে ফয়সাল ফাহিমের মাটি কামড়ানো শটটা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতকে গোল হজম থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে রাকিব হোসেন আরেকটা সুযোগ পেলেন, কিন্তু তা-ও কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি।

৮৪ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতের ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রীও।

বাংলাদেশের বক্সে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে তার সামনে শুধু বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাই ছিলেন। বলকে যেকোনো এক প্রান্তের জালে রাখতে পারলেই গোলটা পেতে পারতেন তিনি। এই মিসের পর পরেই তাকে বদলি করেন ভারতীয় কোচ মানালো মার্কেস।
এর আগে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ফিনিশিংয়ের অভাবে লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

কিক অফের পর পরেই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই অবিশ্বাস্য সুযোগ মিস করে বসেন মুজিবুর রহমান জনি। ম্যাচের প্রথম মিনিটে ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ ভুল করে জনিকে পাস দেন। কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বাইরে শট মারেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার।

এমন সুবর্ণ মিসের পরে আরো কয়েকটি গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তার মধ্যে দুটি হেডের সুযোগ মিস করেন শাহরিয়ার ইমন। প্রথমটা ৯ মিনিটে ভারতের বক্সে ফ্রি হেডের সুযোগ পেয়েও পোস্টের পাশে নেন। আর ১৮ মিনিটেও জাল বরাবর হেডটা নিতে পারেনি প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া ইমন।

তারও আগে ১২ মিনিটে মিস করেন হৃদয়। শটন অবশ্য নিয়েছিলেন কিন্তু পাওয়ার না থাকায় শেষ মূহূর্তে গোললাইন থেকে বলকে কর্নারের বিনিময়ে ভারতকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার শুভাশীষ রায়। হৃদয়কে গোলের সুযোগ এনে দেওয়া ভুলটি করেছিলেন ৭ বছর পর ভারতের গোলবারে দাঁড়ানো গোলরক্ষক বিশাল। তার নেওয়া গোলকিক তপুর পেছনে লেগে বাঁ প্রান্তে বল পান হৃদয়। ফাঁকা পোস্টে মাটি কামড়ানো শটটা না নিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে মারলেই বাংলাদেশের নামের পাশে এক গোল থাকতে পারত।

ভারত প্রথম কোনো ভালো সুযোগ পায় ৩০ মিনিটের সময়। বাঁ প্রান্ত থেকে লিস্টোন কোলোসোর এরিয়াল বলে উদান্তা সিং হেড নিলে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার কোনো রকমে প্রতিহত করেন। তবে ফিরতি বল শট নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পায় ফারুক চৌধুরী। শটটা নিলেন কিন্তু পাওয়ার কম থাকায় তা তালুবন্দি করতে সমস্যা হয়নি গোলরক্ষক মিতুল মারমার।

বিরতিতে যাওয়ার ৪ মিনিট আগে বাংলাদেশকে লিড এনে দেওয়া সুযোগ পেয়েছিলেন জনি। কিন্তু সতীর্থের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে ডান প্রান্ত থেকে ভারতের বক্সে ঢোকার সময় শেষ স্পর্শ জোরে করায় গোলবার থেকে বেরিয়ে এসে গোলরক্ষক বিশাল দলকে রক্ষা করেন।