জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও জাতীয় বীর; তাই এসব জাতীয় বীরদের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকালে লক্ষ্মীপুরে শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির লক্ষ্মীপুর শহর শাখা আয়োজিত জুলাই বিপ্লবে শহীদ পরিবার ও আহতদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আগস্ট বিপ্লবীরা দেশকে ফ্যাসীবাদ ও স্বৈরাচার মুক্ত করতে রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। এ আন্দোলনে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া দলমত নির্বিশেষে সকলেই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। তাই কারো নাম নিয়ে কাউকে খাটো করার সুযোগ নেই। এ বিপ্লবে দেশের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ, আলেম-উলামা সহ হিন্দুরাও জীবন দিয়েছেন জাতিকে ফ্যাসীবাদ ও স্বৈরাচার মুক্ত করার জন্য। তারা তাদের মিশনে পুরোপুরি সফল হয়েছেন। আসলে এ আন্দোলন কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা শ্রেণির ছিল না বরং তা ছিল এক সর্বজনীন সফল ঐতিহাসিক বিপ্লব। তাই এ বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনাই ছিল বৈষম্য ও অপশাসন-দুঃশাসনহীন এক নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। বিপ্লবীদের স্লোগানই ছিল ‘উই ওয়ান্টা জাস্টিস’। তাই এ চেতনাকে পুরোপুরী বাস্তবরূপ দেওয়ার জন্য বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল সহ সকলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ বিপ্লবে ছাত্র-জনতার সাথে দেশপ্রেমী সেনাবাহিনী ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করেছিলো। কিন্তু ছাত্র-জনতার সাথে সেনাবাহিনীর ঐক্যে ফাটল ধরার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা ফ্যাসীবাদকে আবার ফিরে আনার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু এদেশের মাটিতে আর কোন নব্য ফ্যাসীবাদের জন্ম হবে না। তিনি বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন করে মাথাচাঁড়া দিতে পারে।
লক্ষ্মীপুর শহর সভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল হামদুর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলার সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, শহর আমীর এডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা আহ্বায়ক আরমান হোসাইন প্রমূখ।