রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, একাডেমিক ও শিল্প খাতের সহযোগিতা জোরদার এবং যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনএসডিএ ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রুয়েটের এএসই অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদের জিলানী চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির আওতায় রুয়েটের শিক্ষার্থীরা শর্টকোর্স, পেশাদার প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিংয়ের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, পাঠ্যসূচি ও দক্ষতা মানদণ্ড উন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিওটি) এবং মাস্টার ট্রেইনার তৈরির জন্য যৌথ কর্মসূচিও চালু হবে। অনুষ্ঠানে রুয়েটের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক (পরিচালক, গবেষণা ও সম্প্রসারণ) এবং রেজিস্ট্রার জনাব আরিফ আহমেদ চৌধুরী।
চুক্তিটি রুয়েট শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, এই ধরণের সমঝোতা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা, দক্ষতা এবং কর্মসংস্থান সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। তিনি তার বক্তব্যে ‘থ্রি-জিরো’ নীতিমালার বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “তরুণদের আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনএসডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ। তিনি বলেন, “দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এনএসডিএ নিরলসভাবে কাজ করছে এবং এ ধরনের সমঝোতা নতুন এক যুগের সূচনা করেছে।”
এছাড়াও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে এনএসডিএ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের (আইএসসি) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্তির মাধ্যমে বৈশ্বিক চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।