ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাবানল, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছেই

নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। তিনদিন পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুনের উত্তাপ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

গত বুধবার অধিকৃত জেরুজালেমের পশ্চিমে এসতাওল বন থেকে আগুন শুরু হয়ে মেসিলাত জিওন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চ তাপমাত্রা, কম আর্দ্রতা ও প্রবল বাতাস দাবানলকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান একে ‘সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইসরায়েলের বন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জিউইশ ন্যাশনাল ফান্ড জানিয়েছে, প্রধান আগুনগুলো নিয়ন্ত্রণে আসলেও কিছু এলাকায় এখনো কাজ চলছে।

শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার একর জমি আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে দুই হাজার একর ছিল বনাঞ্চল।

আগুনের কারণে বুধবার তিনটি ক্যাথলিক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তারা নিজেদের বাসস্থানে ফিরলেও তাদের কৃষিজমি, আঙুর ও জলপাই বাগান, এবং কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি এবং ঐতিহাসিক গির্জাগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।

জানা যায়, ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতির বাতাস পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া বাতাসের কারণে আগুন সহজেই জেরুজালেম শহরের প্রান্তে, এমনকি শহরের ভেতরেও পৌঁছে যেতে পারে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগুনের কারণে অনেকেই গাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন। কিছু সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় ১৫৫টি অগ্নিনির্বাপক দল এবং এলাদ স্কোয়াড্রনের অগ্নিনিবারণ প্লেন মোতায়েন রয়েছে।

দাবানল নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েলকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইতালি, ক্রোয়েশিয়া ও নর্থ মেসিডোনিয়া। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার জবাব দেয়নি। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। আগুন লাগানোর সন্দেহে কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলে এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাবানল, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছেই

আপডেট সময় ১২:১৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। তিনদিন পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুনের উত্তাপ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

গত বুধবার অধিকৃত জেরুজালেমের পশ্চিমে এসতাওল বন থেকে আগুন শুরু হয়ে মেসিলাত জিওন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চ তাপমাত্রা, কম আর্দ্রতা ও প্রবল বাতাস দাবানলকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান একে ‘সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইসরায়েলের বন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জিউইশ ন্যাশনাল ফান্ড জানিয়েছে, প্রধান আগুনগুলো নিয়ন্ত্রণে আসলেও কিছু এলাকায় এখনো কাজ চলছে।

শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার একর জমি আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে দুই হাজার একর ছিল বনাঞ্চল।

আগুনের কারণে বুধবার তিনটি ক্যাথলিক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তারা নিজেদের বাসস্থানে ফিরলেও তাদের কৃষিজমি, আঙুর ও জলপাই বাগান, এবং কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি এবং ঐতিহাসিক গির্জাগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।

জানা যায়, ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতির বাতাস পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া বাতাসের কারণে আগুন সহজেই জেরুজালেম শহরের প্রান্তে, এমনকি শহরের ভেতরেও পৌঁছে যেতে পারে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগুনের কারণে অনেকেই গাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন। কিছু সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় ১৫৫টি অগ্নিনির্বাপক দল এবং এলাদ স্কোয়াড্রনের অগ্নিনিবারণ প্লেন মোতায়েন রয়েছে।

দাবানল নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েলকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইতালি, ক্রোয়েশিয়া ও নর্থ মেসিডোনিয়া। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার জবাব দেয়নি। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। আগুন লাগানোর সন্দেহে কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে।