ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮ মাস শেষ হলো, এখনও টাকায় শেখ মুজিবের ফটো কেন: কর্নেল অলি

ঢাকা ভয়েস ডেক্স: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.) বলেছেন, শেখ পরিবার বা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী/এমপিরা বিগত ১৫ বছরে যে সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন নাম ফলক স্থাপন করেছে তা উঠানো হউক। এছাড়াও যে সমস্ত জায়গায় সরকারি অর্থ ব্যয় করে তাদের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে তা পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হউক। দেশের কোন জায়গায় তাদের নামে নামফলক রাখার যৌক্তিকতাও নাই। কারণ তারা গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহী। গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহীদের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

কর্নেল অলি বলেন, বিভিন্ন অফিস থেকে শেখ মুজিবের ফটো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হউক। ৮ মাস শেষ হলো, এখনও টাকায় শেখ মুজিবের ফটো কেন? ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম জরুরি ভিত্তিতে বাদ দিয়ে জনগণের অর্থের সাশ্রয় করা হউক। মিথ্যার বেশাতে দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করা ঠিক হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট অকাট্য দলিল প্রমাণ থাকতে হবে। অনেক ইউএনও এর তিনটি জীপ এবং ন্যূনতম পক্ষে প্রত্যেক ইউএনও এর দুটি জীপ রয়েছে। গরিব মানুষদের উপরে এর খরচের বোঝা চাপানো হচ্ছে কেন?-জীপের ব্যাখ্যা। সরকারি গাড়ির অনৈতিক ব্যবহার রোধকল্পে প্রত্যেকটি গাড়ির নেইম প্লেট লাল রং করা হউক। এতে করে জনগণের করের টাকার অপব্যবহার কমে যাবে।

সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে মোট গাড়ির সংখ্যা কত; এগুলির ব্যবহারকারী কে/কারা, তার হিসাব-নিকাশ নিতে হবে এবং এর জন্য একটি ডাটাবেইজ তৈরি করতে হবে। যে সমস্ত জায়গায় রাস্তার উপর হাট-বাজার বসানো হয়েছে, তা সরানোর দায়িত্ব ইউএনও ও সংশ্লিষ্ট ওসিদের উপর ন্যস্ত করতে হবে। এতে করে জনগণের যাতায়াতের পথ সুগম হবে এবং সময় কম লাগবে, জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হবে।

পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনে এলাকার ফুটপাত/রাস্তার উপর বসানো অস্থায়ী দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। এদের পিছনে যারা আছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ভাগাভাগি, গুণ্ডামি বন্ধ করতে হবে। টেন্ডারসহ সবকিছু অনলাইন করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের অফিসে যেন কাউকে যেতে না হয়।

ওসি, ইউএনও, এসপি ও ডিসিদেরকে জরুরি ভিত্তিতে হাসিনার দালালদের গ্রেফতার করার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে করে সমাজে ও রাস্তাঘাটে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হবে।

হাইওয়ে বা শহরের রাস্তার কোন লেইনে কি ধরনের গাড়ি চলবে তা জনগণকে অবহিত করতে হবে, সচেতন করতে হবে। পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জরিমানার ব্যবস্থা রাখতে হবে। জেলা বিচারালয়ের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে জেল দিতে হবে বা শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশে কমপক্ষে ২/৩টি বিশেষায়িত হসপিটাল নির্মাণ করতে হবে, যেখানে স্বল্পমূল্যে সকল ধরনের চিকিৎসা সুবিধা থাকবে এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে করে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা ক্রমশঃ হ্রাস পাবে। আপাতত পিজি হসপিটালে সকলের জন্য চিকিৎসা উন্মুক্ত করা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ সাকলায়েন, অধ্যাপক ওমর ফারুক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা ভয়েস নিউজ২৪/ সাদিক

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছে গুগল

৮ মাস শেষ হলো, এখনও টাকায় শেখ মুজিবের ফটো কেন: কর্নেল অলি

আপডেট সময় ০৭:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

ঢাকা ভয়েস ডেক্স: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.) বলেছেন, শেখ পরিবার বা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী/এমপিরা বিগত ১৫ বছরে যে সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন নাম ফলক স্থাপন করেছে তা উঠানো হউক। এছাড়াও যে সমস্ত জায়গায় সরকারি অর্থ ব্যয় করে তাদের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে তা পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হউক। দেশের কোন জায়গায় তাদের নামে নামফলক রাখার যৌক্তিকতাও নাই। কারণ তারা গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহী। গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহীদের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

কর্নেল অলি বলেন, বিভিন্ন অফিস থেকে শেখ মুজিবের ফটো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হউক। ৮ মাস শেষ হলো, এখনও টাকায় শেখ মুজিবের ফটো কেন? ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম জরুরি ভিত্তিতে বাদ দিয়ে জনগণের অর্থের সাশ্রয় করা হউক। মিথ্যার বেশাতে দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করা ঠিক হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট অকাট্য দলিল প্রমাণ থাকতে হবে। অনেক ইউএনও এর তিনটি জীপ এবং ন্যূনতম পক্ষে প্রত্যেক ইউএনও এর দুটি জীপ রয়েছে। গরিব মানুষদের উপরে এর খরচের বোঝা চাপানো হচ্ছে কেন?-জীপের ব্যাখ্যা। সরকারি গাড়ির অনৈতিক ব্যবহার রোধকল্পে প্রত্যেকটি গাড়ির নেইম প্লেট লাল রং করা হউক। এতে করে জনগণের করের টাকার অপব্যবহার কমে যাবে।

সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে মোট গাড়ির সংখ্যা কত; এগুলির ব্যবহারকারী কে/কারা, তার হিসাব-নিকাশ নিতে হবে এবং এর জন্য একটি ডাটাবেইজ তৈরি করতে হবে। যে সমস্ত জায়গায় রাস্তার উপর হাট-বাজার বসানো হয়েছে, তা সরানোর দায়িত্ব ইউএনও ও সংশ্লিষ্ট ওসিদের উপর ন্যস্ত করতে হবে। এতে করে জনগণের যাতায়াতের পথ সুগম হবে এবং সময় কম লাগবে, জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হবে।

পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনে এলাকার ফুটপাত/রাস্তার উপর বসানো অস্থায়ী দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। এদের পিছনে যারা আছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ভাগাভাগি, গুণ্ডামি বন্ধ করতে হবে। টেন্ডারসহ সবকিছু অনলাইন করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের অফিসে যেন কাউকে যেতে না হয়।

ওসি, ইউএনও, এসপি ও ডিসিদেরকে জরুরি ভিত্তিতে হাসিনার দালালদের গ্রেফতার করার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে করে সমাজে ও রাস্তাঘাটে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হবে।

হাইওয়ে বা শহরের রাস্তার কোন লেইনে কি ধরনের গাড়ি চলবে তা জনগণকে অবহিত করতে হবে, সচেতন করতে হবে। পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জরিমানার ব্যবস্থা রাখতে হবে। জেলা বিচারালয়ের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে জেল দিতে হবে বা শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশে কমপক্ষে ২/৩টি বিশেষায়িত হসপিটাল নির্মাণ করতে হবে, যেখানে স্বল্পমূল্যে সকল ধরনের চিকিৎসা সুবিধা থাকবে এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে করে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা ক্রমশঃ হ্রাস পাবে। আপাতত পিজি হসপিটালে সকলের জন্য চিকিৎসা উন্মুক্ত করা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ সাকলায়েন, অধ্যাপক ওমর ফারুক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা ভয়েস নিউজ২৪/ সাদিক