ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় অনুষ্ঠানে ‘হট্টগোল’ Logo চীনে বোয়াও সম্মেলনে আগামীকাল বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার Logo জামায়াতকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা করেছে কানাডার ট্রাইবুনাল Logo বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকবে না শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য Logo মহান স্বাধীনতা দিবসে চীনা প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা Logo মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এতিম ছাত্রদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ Logo আমরা দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত-আব্দুর রহমান মূসা Logo ড. ইউনূসকে দেওয়া বার্তায় কী বললেন মোদি Logo বিএনপি’র দুই গ্রুপের বিরোধ ঘিরে মীরসরাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে, ইউনিয়নের দলীয় কার্যক্রম স্থগিত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইউনিয়ন বিএনপির সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাদান ইউনিয়নের বিএনপি, অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কমিটি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির শামীম তালুকদার বলেন, ওই ইউনিয়নের দুই গ্রুপের মধ্যে তালতলা বিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যের বিরোধ চলে আসছে, যা সম্প্রতি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। যার ফলে দলীয় শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনসাধারণের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় সরকারি একটি বিলের মাছ ধরা নিয়ে জেলা বিএনপির জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ও মহাদান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল, তার ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব ও বিএনপি নেতা আনোয়ার উস সাদাত লাঞ্জু এবং মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের (লিটন) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল আউয়ালের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই বিলে মাছ ধরতে যান। এ সময় ইসমাইল হোসেনের লোকজনও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া দেন। এরপর থেকে থেমে থেমে দুপক্ষের মধ্যে মহড়া ও উত্তেজনা চলে।

এরপর উভয়পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের কয়েকটি দোকানপাট, বসতবাড়ি ও মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুর করে। এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় অনুষ্ঠানে ‘হট্টগোল’

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে, ইউনিয়নের দলীয় কার্যক্রম স্থগিত

আপডেট সময় ১১:০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইউনিয়ন বিএনপির সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাদান ইউনিয়নের বিএনপি, অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কমিটি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির শামীম তালুকদার বলেন, ওই ইউনিয়নের দুই গ্রুপের মধ্যে তালতলা বিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যের বিরোধ চলে আসছে, যা সম্প্রতি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। যার ফলে দলীয় শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনসাধারণের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় সরকারি একটি বিলের মাছ ধরা নিয়ে জেলা বিএনপির জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ও মহাদান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল, তার ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব ও বিএনপি নেতা আনোয়ার উস সাদাত লাঞ্জু এবং মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের (লিটন) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল আউয়ালের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই বিলে মাছ ধরতে যান। এ সময় ইসমাইল হোসেনের লোকজনও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া দেন। এরপর থেকে থেমে থেমে দুপক্ষের মধ্যে মহড়া ও উত্তেজনা চলে।

এরপর উভয়পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের কয়েকটি দোকানপাট, বসতবাড়ি ও মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুর করে। এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।