ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

হাসিনার মতোই নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব: তাজউদ্দিন কন্যা

শেখ হাসিনা যেভাবে নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, একইভাবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান পালিয়ে যান মন্তব্য করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ। বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন শারমিন আহমদ।

তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। ওই রাতে শেখ হাসিনার মতোই নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় রেখে শেখ মুজিব পালিয়ে যান। সেই রাতে তিনি তাজউদ্দিন আহমদকে বলে গেলেন, ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও, পরশু হরতাল ডেকেছি।’ এখনো খোঁজ করলে সেই হরতালের পোস্টারগুলোও পাওয়া যাবে।

শারমিন আহমদ বলেন, ‘এই হরতালের ঘোষণা তিনি যখন দিলেন, তখন অলরেডি আমরা জানতে পেরেছি যে, ক্র্যাকডাউন হবে। এই খবরটি কিন্তু তখন ফাঁস। শেখ মুজিব কিন্তু এর সবকিছুই জানতেন। তারপরও তিনি নেতাকর্মীদের মৃত্যুর মুখে রেখে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দিলেন না। তিনি একবারও বলেননি তোমরা সরকার গঠন করো, শুধু তাই নয়- তিনি কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণাটুকুও দিলেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেই রাতে বাবার সঙ্গে শেখ মুজিবের অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, “মুজিব ভাই পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন। আপনি তো কোনো নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে না।” কিন্তু বাবার এসব কথা শুনে উনি শুধু বললেন, “তোমরা যা করার করবে।” তখন বাবা বলেছিলেন, “আপনি কী কোনো বৈঠক করে বলে দিয়েছেন যে, আপনার পরে চেইন অব কমান্ড কী হবে?”

শারমিন আহমদ বলেন, ‘যার ফলে এসব নিয়ে বিশাল একটা বিভক্তি আছে। ওই রাতে আমার বাবা যখন উদভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক পায়চারি করছিলেন, তখন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এসে বললেন, “তাজউদ্দিন ভাই আমি তো মুজিব ভাইয়ের ওখানে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আসবেন না। উনি তো গোসল করে পরিপাটি হয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য রেডি”।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

হাসিনার মতোই নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব: তাজউদ্দিন কন্যা

আপডেট সময় ০৯:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

শেখ হাসিনা যেভাবে নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, একইভাবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান পালিয়ে যান মন্তব্য করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ। বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন শারমিন আহমদ।

তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। ওই রাতে শেখ হাসিনার মতোই নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় রেখে শেখ মুজিব পালিয়ে যান। সেই রাতে তিনি তাজউদ্দিন আহমদকে বলে গেলেন, ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও, পরশু হরতাল ডেকেছি।’ এখনো খোঁজ করলে সেই হরতালের পোস্টারগুলোও পাওয়া যাবে।

শারমিন আহমদ বলেন, ‘এই হরতালের ঘোষণা তিনি যখন দিলেন, তখন অলরেডি আমরা জানতে পেরেছি যে, ক্র্যাকডাউন হবে। এই খবরটি কিন্তু তখন ফাঁস। শেখ মুজিব কিন্তু এর সবকিছুই জানতেন। তারপরও তিনি নেতাকর্মীদের মৃত্যুর মুখে রেখে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দিলেন না। তিনি একবারও বলেননি তোমরা সরকার গঠন করো, শুধু তাই নয়- তিনি কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণাটুকুও দিলেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেই রাতে বাবার সঙ্গে শেখ মুজিবের অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, “মুজিব ভাই পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন। আপনি তো কোনো নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে না।” কিন্তু বাবার এসব কথা শুনে উনি শুধু বললেন, “তোমরা যা করার করবে।” তখন বাবা বলেছিলেন, “আপনি কী কোনো বৈঠক করে বলে দিয়েছেন যে, আপনার পরে চেইন অব কমান্ড কী হবে?”

শারমিন আহমদ বলেন, ‘যার ফলে এসব নিয়ে বিশাল একটা বিভক্তি আছে। ওই রাতে আমার বাবা যখন উদভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক পায়চারি করছিলেন, তখন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এসে বললেন, “তাজউদ্দিন ভাই আমি তো মুজিব ভাইয়ের ওখানে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আসবেন না। উনি তো গোসল করে পরিপাটি হয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য রেডি”।