সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আটকের প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহরে এই বিক্ষোভ চলছে। ঘুষ ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তার অভিযোগে বুধবার ইমামোগলুকে আটক করে প্রশাসন। এর আগে ঘুষ, দূর্নীতি এবং নানা অভিযোগের কারনে তার শিক্ষাগত ডিপ্লোমা বাতিল করা হয়।
এদিকে, ইমামোগলুকে মুক্তকরার দাবিতে বিক্ষোভ করেন রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহরে । ৩৪৩ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
রিপাবলিকান পিপলস পার্টির ইমামোগলুকে এরদোয়ানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঘুষ ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তার অভিযোগে বুধবার ইমামোগলুকে আটক করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এরদোয়ানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ।
এবার অবশ্য বিক্ষোভ দমনে ইস্তাম্বুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এছাড়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জমায়েতের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটা সহিংসতার কারণে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমির শহরেও বলপ্রয়োগে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আঙ্কারায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি প্রধান সড়ক ধরে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
দেশটির প্রশাসনের এমন বাধা ও প্রেসিডেন্টের হুমকির তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাইটার্স