দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার এক নেতা নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৩ মার্চ) গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, হামলার সময় সালাহ আল বারদায়েল নামের ওই নেতা নিজের তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন।
হামাসের মিডিয়া জানিয়েছে, বারদায়েল সংগঠনের রাজনৈতিক শাখার একজন সদস্য ছিলেন। ওই হামলায় তিনি এবং তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হামাস নেতাদের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নূর ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে বারদায়েলের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে নামাজরত অবস্থায় খান ইউনিসে বারদায়েলের তাঁবুতে মিসাইল হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে সালাহ আল বারদায়েল ও তার স্ত্রী শহিদ হয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বারদায়েল ও তার শহিদ স্ত্রীর রক্ত, মুক্তি ও স্বাধীনতার যুদ্ধে সৈনিকদের শক্তি জোগাবে। সন্ত্রাসী শত্রুরা যোদ্ধাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না।
প্রায় দুইমাস অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকার পর গাজায় ফের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘল করে উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার পর গাজাবাসী এখন প্রাণ রক্ষার্থে ছুটে বেড়াচ্ছে। আকাশ এবং স্থলভাগ সবখেত্রে নতুন করে গাজার প্রভাবশালী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করেছে দখলদার বাহিনী। ফলে উপত্যকা ফের অশান্ত হতে শুরু করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার ভোরে উত্তর, দক্ষিণ এবং মধ্য গাজা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার ইসরায়েল যেসব অঞ্চলে হামলা শুরু করেছিল, এদিন সেসব এলাকায় ইসরায়েলি বিমান থেকে বড় আকারে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলে আসছেন, তাদের যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য হামাসকে ধ্বংস করা। নতুন হামলাকে তিনি জিম্মি মুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে হামাস এই হামলাকে যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।