ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

মোবাইল কেনা নিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মোবাইল কেনা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

গতকাল শুক্রবার (২১ মার্চ) শহরের জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন— মহিন মিয়া, শিপন মিয়া, আল আমিন, মিনারা বেগম, ইয়াসমিন আক্তার, মমতা বেগম ও অজুফা বেগম। তাৎক্ষণিক বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অজুফা বেগমকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার শহরের জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুরের ডেঙ্গাবাড়ির জীবন মিয়ার কাছ থেকে মোবাইল কেনেন জিহাদ মিয়া। পরদিন সন্ধ্যায় জীবন মিয়া টাকা না দিয়ে সেই ফোন জিহাদ মিয়ার কাছ থেকে ফেরত নেন। আগারবাড়ির শিপন মিয়া এর প্রতিবাদ করলে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে সালিশ বসানো হয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ফের কথাকাটাকাটি হয়। তখন আগারবাড়ির সমর্থকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের লোকজনকে জড়ো হতে বলে। এ ঘোষণা শুনে দুপক্ষই দা, বল্লম, টেঁটা, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুপক্ষের ১৫ জন আহত হয়। উভয়পক্ষের ২০টি দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

আগারবাড়ির শিপন মিয়া বলেন, ডেঙ্গাবাড়ির জীবন চুরি করা ফোন জিহাদ নামে এক শ্রমিকের কাছে বিক্রি করে আবার ফেরত নেয়। প্রতিবাদ করলে হামলা করে। সকালে সালিশেও হামলা চালায় তারা। বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একজন বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা করে দোকানের মালপত্র তুলেছি। আমরা ঝগড়ায় ছিলাম না। এরপরও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বাড়িঘরেও হামলা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানী জানান, উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাসদস্যদের সহায়তায় সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

মোবাইল কেনা নিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

আপডেট সময় ১১:৫৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মোবাইল কেনা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

গতকাল শুক্রবার (২১ মার্চ) শহরের জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন— মহিন মিয়া, শিপন মিয়া, আল আমিন, মিনারা বেগম, ইয়াসমিন আক্তার, মমতা বেগম ও অজুফা বেগম। তাৎক্ষণিক বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অজুফা বেগমকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার শহরের জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুরের ডেঙ্গাবাড়ির জীবন মিয়ার কাছ থেকে মোবাইল কেনেন জিহাদ মিয়া। পরদিন সন্ধ্যায় জীবন মিয়া টাকা না দিয়ে সেই ফোন জিহাদ মিয়ার কাছ থেকে ফেরত নেন। আগারবাড়ির শিপন মিয়া এর প্রতিবাদ করলে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে সালিশ বসানো হয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ফের কথাকাটাকাটি হয়। তখন আগারবাড়ির সমর্থকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের লোকজনকে জড়ো হতে বলে। এ ঘোষণা শুনে দুপক্ষই দা, বল্লম, টেঁটা, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুপক্ষের ১৫ জন আহত হয়। উভয়পক্ষের ২০টি দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

আগারবাড়ির শিপন মিয়া বলেন, ডেঙ্গাবাড়ির জীবন চুরি করা ফোন জিহাদ নামে এক শ্রমিকের কাছে বিক্রি করে আবার ফেরত নেয়। প্রতিবাদ করলে হামলা করে। সকালে সালিশেও হামলা চালায় তারা। বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একজন বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা করে দোকানের মালপত্র তুলেছি। আমরা ঝগড়ায় ছিলাম না। এরপরও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বাড়িঘরেও হামলা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানী জানান, উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাসদস্যদের সহায়তায় সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।