ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শ্রমিকের উন্নয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ. লীগ সভাপতির মেয়ে Logo পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার Logo চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত Logo নওগাঁয় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও সমাবেশ Logo প্রকৌশল ক্যাডারে বৈষম্য ইস্যুতে রুয়েট প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি Logo রাজধানীর ৫০টি জায়গায় বসছে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ যাহা সিগারেটের মতো ক্ষতিকর ধোঁয়া টেনে নিতে সক্ষম Logo ভারত-পাকিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের Logo ‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারী শ্রমিকরাও পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা পাবে’

প্রকৌশল ক্যাডারে বৈষম্য ইস্যুতে রুয়েট প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) দেশের প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রকৌশলী পেশাজীবীদের অধিকার রক্ষায় সদা প্রত্যয়ী। সাম্প্রতিক সময়ে বিসিএস (প্রকৌশল) ক্যাডারে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক নীতি অনুসৃত হচ্ছে, তা প্রকৌশল শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের মাঝে ন্যায়বিচারবোধ ও পেশাগত মর্যাদার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে উত্থাপিত তিন দফা দাবি-(১) প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে ৯ম গ্রেডে নিয়োগ, (২) ১০ম গ্রেড সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং (৩) প্রকৌশল পেশার স্বীকৃতি আইনি প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ-এসব দাবি সুস্পষ্টভাবে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। রুয়েট প্রশাসন এই দাবিগুলোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করছে।

প্রকৌশলীরা একটি দেশের অবকাঠামো, প্রযুক্তি এবং টেকসই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাদের প্রতি কোনো রকম অবিচার বা পেশাগত অসম্মান দেশের সার্বিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। রাষ্ট্রের উচিত তাদের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করা। রুয়েট প্রশাসন মনে করে, পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি পদ্ধতি গ্রহণ করাই সবচেয়ে ন্যায্য এবং স্বচ্ছ উপায়। এতে করে প্রকৌশল খাতে প্রকৃত মেধাবীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণের প্রকৃত মূল্যায়ন ঘটবে। এর পাশাপাশি, ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করে আইন পাস করাও সময়ের দাবি।

আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিকট দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই-তারা যেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবিসমূহকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে, যথাযথ নীতিগত ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং একটি বৈষম্যহীন, স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ।

রুয়েট প্রশাসন দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে, প্রকৌশলীদের পেশাগত অধিকার ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশ তার প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরো বেগবান করতে পারবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রমিকের উন্নয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকৌশল ক্যাডারে বৈষম্য ইস্যুতে রুয়েট প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

আপডেট সময় ০২:৫০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) দেশের প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রকৌশলী পেশাজীবীদের অধিকার রক্ষায় সদা প্রত্যয়ী। সাম্প্রতিক সময়ে বিসিএস (প্রকৌশল) ক্যাডারে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক নীতি অনুসৃত হচ্ছে, তা প্রকৌশল শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের মাঝে ন্যায়বিচারবোধ ও পেশাগত মর্যাদার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে উত্থাপিত তিন দফা দাবি-(১) প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে ৯ম গ্রেডে নিয়োগ, (২) ১০ম গ্রেড সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং (৩) প্রকৌশল পেশার স্বীকৃতি আইনি প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ-এসব দাবি সুস্পষ্টভাবে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। রুয়েট প্রশাসন এই দাবিগুলোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করছে।

প্রকৌশলীরা একটি দেশের অবকাঠামো, প্রযুক্তি এবং টেকসই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাদের প্রতি কোনো রকম অবিচার বা পেশাগত অসম্মান দেশের সার্বিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। রাষ্ট্রের উচিত তাদের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করা। রুয়েট প্রশাসন মনে করে, পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি পদ্ধতি গ্রহণ করাই সবচেয়ে ন্যায্য এবং স্বচ্ছ উপায়। এতে করে প্রকৌশল খাতে প্রকৃত মেধাবীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণের প্রকৃত মূল্যায়ন ঘটবে। এর পাশাপাশি, ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করে আইন পাস করাও সময়ের দাবি।

আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিকট দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই-তারা যেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবিসমূহকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে, যথাযথ নীতিগত ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং একটি বৈষম্যহীন, স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ।

রুয়েট প্রশাসন দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে, প্রকৌশলীদের পেশাগত অধিকার ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশ তার প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরো বেগবান করতে পারবে।