ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার Logo চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত Logo নওগাঁয় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও সমাবেশ Logo প্রকৌশল ক্যাডারে বৈষম্য ইস্যুতে রুয়েট প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি Logo রাজধানীর ৫০টি জায়গায় বসছে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ যাহা সিগারেটের মতো ক্ষতিকর ধোঁয়া টেনে নিতে সক্ষম Logo ভারত-পাকিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের Logo ‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারী শ্রমিকরাও পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা পাবে’ Logo ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার যানজট Logo দীর্ঘ ৩২ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি বিবৃতি

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস -২০২৫ উপলক্ষে গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি একটি বিবৃতি প্রদান করেছে.

বিবৃতিতে বলা হয়,১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এ দিনটি শ্রমিকদের আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বহন করে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দিনটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়ে থাকে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেটের নিহত শ্রমিকদের আত্মত্যাগ স্মরণে এই দিবসের সূচনা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সকল শ্রমজীবী মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সংহতি জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ৩ বছরে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৯১ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩৩৪ জন এবং এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৬১ জন শ্রমিক। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪২৯ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। এটি উদ্বেগজনক যে, কমপক্ষে ২৮ জন গৃহকর্মী মালিকের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়েছেন এবং নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০জন। এছাড়া ২০২৫ সালের ১ম তিন মাসে ৮৬ টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৯৪ জন। মার্চ মাসে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভরত বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৭৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৯ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। ২ জন শিশু গৃহকর্মী মালিকের নির্যাতনে নিহত এবং ১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আমরা বিশেষভাবে গার্মেন্টস খাতের নারী শ্রমিক, চা বাগানের শ্রমজীবী জনগোষ্ঠী, এবং শিশু শ্রমের শিকার লাখো শিশুর অধিকারের প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, এ খাতে কর্মরত অনেক নারী শ্রমিক এখনো ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং মাতৃত্বকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তারা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য ও হয়রানির সম্মুখীন হন।

অন্যদিকে, শিশু শ্রম এখনো দেশের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান, বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পে। এটি শুধু শিশুর শৈশবকে কেড়ে নিচ্ছে না, বরং তাদের শিক্ষার অধিকারও ক্ষুণ্ন করছে। চা শ্রমিকরা যুগ যুগ ধরে অপ্রতুল মজুরি, দুর্বল জীবনমান ও অবহেলিত সেবা ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছেন। তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ সময়ের দাবি।

বিবৃতিতে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়,

১. শ্রমিকদের জন্য জীবনোপযোগী ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
২.স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দুর্ঘটনামুক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে।
৩.গার্মেন্টসসহ সব খাতে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা ও সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৪.নারী শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য ও যৌন হয়রানি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫.শিশু শ্রম বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং শিশু শ্রম নিরসনে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
৬.চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অবিলম্বে মজুরি পুনর্বিন্যাস, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৭.গৃহকর্মী, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ সকল অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের জন্য আইনি সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা চালু করতে হবে।
৮.শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও কার্যকর অংশগ্রহণের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
৯.শ্রম আদালতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শ্রমিকদের সুলভ ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
১০.মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য জরুরি তহবিল ও সহায়তা ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এতে আরও বলা হয়,আমরা বিশ্বাস করি, “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে”—এই প্রতিপাদ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। শ্রমিকদের প্রতি ন্যায্যতা ও সম্মান প্রদর্শনই একটি মানবিক সমাজের ভিত্তি। এই দিবসটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আন্দোলনে নতুন শক্তি যোগাবে। সকল স্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং একটি সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
আমরা আশাবাদী, আজকের এই দিন আমাদের দেশকে একটি অধিকতর মানবিক, ন্যায়সংগত ও মর্যাদাপূর্ণ শ্রমব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিতে প্রেরণা যোগাবে। আমরা বিশ্বাস করি, শ্রমিকদের সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একসাথে গড়ে তুলবো একটি সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মক্ষেত্র।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি বিবৃতি

আপডেট সময় ০৮:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস -২০২৫ উপলক্ষে গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি একটি বিবৃতি প্রদান করেছে.

বিবৃতিতে বলা হয়,১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এ দিনটি শ্রমিকদের আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বহন করে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দিনটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়ে থাকে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেটের নিহত শ্রমিকদের আত্মত্যাগ স্মরণে এই দিবসের সূচনা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সকল শ্রমজীবী মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সংহতি জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ৩ বছরে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৯১ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩৩৪ জন এবং এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৬১ জন শ্রমিক। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪২৯ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। এটি উদ্বেগজনক যে, কমপক্ষে ২৮ জন গৃহকর্মী মালিকের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়েছেন এবং নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০জন। এছাড়া ২০২৫ সালের ১ম তিন মাসে ৮৬ টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৯৪ জন। মার্চ মাসে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভরত বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৭৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৯ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। ২ জন শিশু গৃহকর্মী মালিকের নির্যাতনে নিহত এবং ১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আমরা বিশেষভাবে গার্মেন্টস খাতের নারী শ্রমিক, চা বাগানের শ্রমজীবী জনগোষ্ঠী, এবং শিশু শ্রমের শিকার লাখো শিশুর অধিকারের প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, এ খাতে কর্মরত অনেক নারী শ্রমিক এখনো ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং মাতৃত্বকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তারা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য ও হয়রানির সম্মুখীন হন।

অন্যদিকে, শিশু শ্রম এখনো দেশের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান, বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পে। এটি শুধু শিশুর শৈশবকে কেড়ে নিচ্ছে না, বরং তাদের শিক্ষার অধিকারও ক্ষুণ্ন করছে। চা শ্রমিকরা যুগ যুগ ধরে অপ্রতুল মজুরি, দুর্বল জীবনমান ও অবহেলিত সেবা ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছেন। তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ সময়ের দাবি।

বিবৃতিতে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়,

১. শ্রমিকদের জন্য জীবনোপযোগী ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
২.স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দুর্ঘটনামুক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে।
৩.গার্মেন্টসসহ সব খাতে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা ও সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৪.নারী শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য ও যৌন হয়রানি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫.শিশু শ্রম বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং শিশু শ্রম নিরসনে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
৬.চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অবিলম্বে মজুরি পুনর্বিন্যাস, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৭.গৃহকর্মী, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ সকল অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের জন্য আইনি সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা চালু করতে হবে।
৮.শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও কার্যকর অংশগ্রহণের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
৯.শ্রম আদালতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শ্রমিকদের সুলভ ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
১০.মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য জরুরি তহবিল ও সহায়তা ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এতে আরও বলা হয়,আমরা বিশ্বাস করি, “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে”—এই প্রতিপাদ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। শ্রমিকদের প্রতি ন্যায্যতা ও সম্মান প্রদর্শনই একটি মানবিক সমাজের ভিত্তি। এই দিবসটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আন্দোলনে নতুন শক্তি যোগাবে। সকল স্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং একটি সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
আমরা আশাবাদী, আজকের এই দিন আমাদের দেশকে একটি অধিকতর মানবিক, ন্যায়সংগত ও মর্যাদাপূর্ণ শ্রমব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিতে প্রেরণা যোগাবে। আমরা বিশ্বাস করি, শ্রমিকদের সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একসাথে গড়ে তুলবো একটি সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মক্ষেত্র।