ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলিক উপকরন ছাড়াই গাজায় বেঁচে থাকার লড়াই ১০ লাখ শিশুর

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণ ছাড়াই টিকে থাকার জন্য লড়তে হচ্ছে গাজার ১০ লাখ শিশুকে।

গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর এল-বালাহ থেকে ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক এডুয়ার্ড বেগবেদার এক ভিডিও পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। বেগবেদার বলেছেন, শিশুদের জীবন বাঁচাতে অন্তত কিছু পানি ওবিদ্যুৎ ছিটমহলে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া ‘জরুরি।’

তিনি বলেছেন, “গাজার ১০ লাখ শিশু মৌলিক উপকরণ ছাড়াই বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। লাখ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি এবং স্যানিটেশনের অভাব বোধ করছে। পানি মানুষের একটি মৌলিক অধিকার যা কাউকেই বঞ্চিত করা উচিত নয়। ইউনিসেফ এবং তার সহযোগীরা জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সরবরাহের জন্য কাজ করছে, কিন্তু কেবলমাত্র একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং অবাধ প্রবেশাধিকারই সত্যিকার অর্থে জীবন বাঁচাতে পারে।”

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মানবিক ত্রাণের উপর ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে খাদ্য, পানীয় জল এবং রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অদৃশ্য হয়ে গেছে গাজায়। এরফলে গাজার জীবন রক্ষাকারী দাতব্য সংস্থাগুলো তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পহেলা মার্চ ইসরায়েল ও হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এর আগেই গাজা অবরুদ্ধ করে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনার লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ৬ ডাকাত গ্রেফতার

মৌলিক উপকরন ছাড়াই গাজায় বেঁচে থাকার লড়াই ১০ লাখ শিশুর

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণ ছাড়াই টিকে থাকার জন্য লড়তে হচ্ছে গাজার ১০ লাখ শিশুকে।

গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর এল-বালাহ থেকে ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক এডুয়ার্ড বেগবেদার এক ভিডিও পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। বেগবেদার বলেছেন, শিশুদের জীবন বাঁচাতে অন্তত কিছু পানি ওবিদ্যুৎ ছিটমহলে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া ‘জরুরি।’

তিনি বলেছেন, “গাজার ১০ লাখ শিশু মৌলিক উপকরণ ছাড়াই বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। লাখ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি এবং স্যানিটেশনের অভাব বোধ করছে। পানি মানুষের একটি মৌলিক অধিকার যা কাউকেই বঞ্চিত করা উচিত নয়। ইউনিসেফ এবং তার সহযোগীরা জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সরবরাহের জন্য কাজ করছে, কিন্তু কেবলমাত্র একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং অবাধ প্রবেশাধিকারই সত্যিকার অর্থে জীবন বাঁচাতে পারে।”

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মানবিক ত্রাণের উপর ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে খাদ্য, পানীয় জল এবং রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অদৃশ্য হয়ে গেছে গাজায়। এরফলে গাজার জীবন রক্ষাকারী দাতব্য সংস্থাগুলো তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পহেলা মার্চ ইসরায়েল ও হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এর আগেই গাজা অবরুদ্ধ করে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।