ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কারাগারে

দুদকের দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আত্মসমর্পণের পর ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিক ও প্রদীপ কুমার রায় জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি তুহিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আইনজীবী শেখ সাকিল আহমেদ রিপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন, চিকিৎসা, ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত ও পরোয়ানা ফেরতের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে কর ফাঁকির অভিযোগ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই তিন বছর ও পাঁচ বছর মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ সতেরো বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেন।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুপুরের মধ্যে যে ৫ জেলায় ঝড় হতে পাবে

তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কারাগারে

আপডেট সময় ০২:৫২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দুদকের দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আত্মসমর্পণের পর ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিক ও প্রদীপ কুমার রায় জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি তুহিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আইনজীবী শেখ সাকিল আহমেদ রিপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন, চিকিৎসা, ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত ও পরোয়ানা ফেরতের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে কর ফাঁকির অভিযোগ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই তিন বছর ও পাঁচ বছর মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ সতেরো বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেন।