ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবিপ্রবি তে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি: পাকা রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসীর আকুতি Logo আমীরে জামায়াত কে ফোন করেন প্রধান উপদেষ্টা, দিয়েছেন আশ্বাস: নায়েবে আমীর তাহের Logo মিথ‍্যা, চরম মিথ্যা ও জঘন্য মিথ্যা : তাজনুভা জাবীন Logo অভিমান ভুলে ঐকমত্য কমিশনের সভায় জামায়াত Logo নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান, প্রমাণ মিলেছে অনিয়মের Logo এই ধরনের মূর্খ উপদেষ্টা দেশের ইতিহাসে কেউ কোনোদিন দেখেনি : ইশরাক Logo গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে মুশফিকের বিশ্বরেকর্ড Logo ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে হিজবুল্লাহর ভূমিকা কী Logo ঐকমত্য কমিশনের সাথে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী

ইত্তেফাককে ক্ষমা চাইতে ৩ দিন সময় দিলো বিসিবি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১২:৩২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 94

স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সম্পাদক এবং প্রকাশককে ৩ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও এর সভাপতি ফারুক আহমেদ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিসিবি।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) পাঠানো ওই আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর ২৪ এপ্রিলের দ্বিতীয় সংস্করণে প্রথম পৃষ্ঠা এবং ছয় নম্বর পৃষ্ঠার পাঁচ নম্বর কলামে “স্বেচ্ছাচারিতায় জিম্মি বাংলাদেশ, কমছে মান, আসছে না কাঙ্ক্ষিত ফল” শীর্ষক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে বিসিবি ও এর সভাপতির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, প্রতিবেদনে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে বোর্ডের বিপুল পরিমাণ ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ সমস্যা থাকা ব্যাংকে স্থানান্তর করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা ও সাজানো। প্রতিবেদনের মাধ্যমে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিসিবির দাবি, সংবাদের তথ্যসূত্র ছিল অবিশ্বস্ত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমন কর্মকাণ্ড হলুদ সাংবাদিকতার উদাহরণ এবং বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পাঁয়তারা। বিসিবি বরাবরই আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতিতে অটল রয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সম্পাদক ও প্রকাশককে ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে বিসিবির লোগো ও সভাপতির ছবি সংবলিত একটি স্পষ্ট খণ্ডন প্রতিবেদন প্রকাশ করতে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আদালতে (দেওয়ানি ও ফৌজদারি) আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :

পাবিপ্রবি তে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইত্তেফাককে ক্ষমা চাইতে ৩ দিন সময় দিলো বিসিবি

আপডেট সময় ১২:৩২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সম্পাদক এবং প্রকাশককে ৩ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও এর সভাপতি ফারুক আহমেদ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিসিবি।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) পাঠানো ওই আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর ২৪ এপ্রিলের দ্বিতীয় সংস্করণে প্রথম পৃষ্ঠা এবং ছয় নম্বর পৃষ্ঠার পাঁচ নম্বর কলামে “স্বেচ্ছাচারিতায় জিম্মি বাংলাদেশ, কমছে মান, আসছে না কাঙ্ক্ষিত ফল” শীর্ষক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে বিসিবি ও এর সভাপতির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, প্রতিবেদনে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে বোর্ডের বিপুল পরিমাণ ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ সমস্যা থাকা ব্যাংকে স্থানান্তর করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা ও সাজানো। প্রতিবেদনের মাধ্যমে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিসিবির দাবি, সংবাদের তথ্যসূত্র ছিল অবিশ্বস্ত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমন কর্মকাণ্ড হলুদ সাংবাদিকতার উদাহরণ এবং বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পাঁয়তারা। বিসিবি বরাবরই আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতিতে অটল রয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সম্পাদক ও প্রকাশককে ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে বিসিবির লোগো ও সভাপতির ছবি সংবলিত একটি স্পষ্ট খণ্ডন প্রতিবেদন প্রকাশ করতে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আদালতে (দেওয়ানি ও ফৌজদারি) আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।