নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
ঢাকাভয়েস২৪ পাঠকদের উদ্দেশে পোস্টটি তুলে ধরা হলো”
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা এদেশের পরিবার ব্যবস্থাপনা ভাঙার এক গভীর নীলনকশা। এই আরোপিত প্রস্তাবনা এদেশের মাটিলগ্ন সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল।
৩১৮ পৃষ্ঠার এ প্রস্তাবনার পাতায় পাতায় কমিশন-সদস্যদের অন্ধ পশ্চিমাপ্রীতি ও দাসত্বের ছবি ভয়ংকর রূপে ফুটে উঠেছে।
কমিশন এদেশের নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা পশ্চিমা-সংস্কৃতি ও ধ্যান-ধারণার অন্ধ অনুসারী মাত্র।
পশ্চিমারা জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে আমাদের চেয়ে হয়তো একশ বছর এগিয়ে আছে। কিন্তু দাম্পত্য সুখ ও পরিবারিক জীবনে আমরা তাদের চেয়ে দুইশ বছর এগিয়ে আছি।
তাই, আর যা হোক সংস্কারের নামে পশ্চিমাদের কৃষ্টি-কালচার আমদানি করা হবে নিজের পায়ে কুড়াল মারার নামান্তর। দেশবাসী এটা কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
মন্তব্যর ঘরে তিনি লিখেন,সংস্কারের নামে ইন্টেরিম সরকারের সবচেয়ে ভয়াবহ কাজ তথাকথিত নারী সংস্কার।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আংশিক নয়, পুরোটাই বাতিল করে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এদেশের প্রকৃত রূপ ধারণ করে গ্রামবাংলা। সেই গ্রামীণ নারীদের ধারণ করতে পারা মানুষদের দিয়ে কমিশন গঠন করতে হবে।
পশ্চিমারা তাদের ভুল সংস্কৃতি ও পরিবার ব্যবস্থাপনার জন্য মাশুল দিতে শুরু করেছে। পরিবার পরিকল্পনার নামে এক সময় তারা সন্তান কম নিতে প্রচারণা চালিয়েছে। বিবাহকে নিরুৎসাহিত করেছে, বিবাহের পথ কঠিন করে দিয়েছে। স্বাধীনতার নামে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে তারা স্বাভাবিক করেছে।
এখন তারা সেসবের কুফল ভোগ করছে। সন্তান জন্মের হার ভয়াবহ আকারে কমে গেছে। এখন আর তারা একটি বা দুটি সন্তান যথেষ্টর কথা বলছে না। বরং ট্রাম্প ৬ সন্তানের মাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তারা যে আগুন থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছে, আমরা স্বেচ্ছায় সে আগুনের দিকে ধাবিত হচ্ছি!