ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ ব্ল্যাকআউটের কবলে স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্স

হঠাৎ ব্ল্যাকআউটের কবলে স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্স

স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্সে ব্যাপক বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। পুরো স্পেন ও পর্তুগাল সোমবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়, ট্রেন চলাচল থেমে যায় এবং বহু মানুষ লিফটে আটকা পড়ে। অন্যদিকে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশেও অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। স্পেনের সরকার এই বিশাল বিপর্যয়ের উৎস চিহ্নিত করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেস রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সংযোগ নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান রেড ইলেকট্রিকারের সদর দপ্তরে গিয়ে অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে ছয় থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং তারা জনগণকে বিভ্রান্তিকর জল্পনা-কল্পনা না করতে অনুরোধ করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মেট্রো স্টেশনগুলো অন্ধকারে ডুবে আছে, ট্রেনগুলো থেমে আছে এবং অফিস ও করিডরে মানুষ ফোনের আলো ব্যবহার করে চলাফেরা করছে।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ডিজিটিকে গাড়িচালকদের গাড়ি থামিয়ে দিতে বলে। কারণ ট্রাফিক সিগন্যাল অচল হয়ে পড়ায় গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলছিল এবং পুলিশ সদস্যরা ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক পরিচালনা করছিলেন।

মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় এএফপির সাংবাদিকরা দেখেছেন, মানুষ রাস্তায় বের হয়ে স্মার্টফোন তুলে নেটওয়ার্কের সংযোগ পাওয়ার চেষ্টা করছে।

এ ছাড়া স্পেনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বহু মানুষ লিফটে আটকা পড়েন। ইন্টারনেট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস এএফপিকে জানিয়েছে, এই ব্ল্যাকআউটের ফলে দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোর বড় অংশ অচল হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক ব্যবহারের মাত্র ১৭ শতাংশে নেমে আসে ওয়েব সংযোগ।

ট্যাগস :

ঢাকা ভয়েস২৪ পরিবাবের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ‘ঈদ মোবারক’

হঠাৎ ব্ল্যাকআউটের কবলে স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্স

আপডেট সময় ০৯:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্সে ব্যাপক বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। পুরো স্পেন ও পর্তুগাল সোমবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়, ট্রেন চলাচল থেমে যায় এবং বহু মানুষ লিফটে আটকা পড়ে। অন্যদিকে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশেও অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। স্পেনের সরকার এই বিশাল বিপর্যয়ের উৎস চিহ্নিত করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেস রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সংযোগ নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান রেড ইলেকট্রিকারের সদর দপ্তরে গিয়ে অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে ছয় থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং তারা জনগণকে বিভ্রান্তিকর জল্পনা-কল্পনা না করতে অনুরোধ করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মেট্রো স্টেশনগুলো অন্ধকারে ডুবে আছে, ট্রেনগুলো থেমে আছে এবং অফিস ও করিডরে মানুষ ফোনের আলো ব্যবহার করে চলাফেরা করছে।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ডিজিটিকে গাড়িচালকদের গাড়ি থামিয়ে দিতে বলে। কারণ ট্রাফিক সিগন্যাল অচল হয়ে পড়ায় গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলছিল এবং পুলিশ সদস্যরা ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক পরিচালনা করছিলেন।

মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় এএফপির সাংবাদিকরা দেখেছেন, মানুষ রাস্তায় বের হয়ে স্মার্টফোন তুলে নেটওয়ার্কের সংযোগ পাওয়ার চেষ্টা করছে।

এ ছাড়া স্পেনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বহু মানুষ লিফটে আটকা পড়েন। ইন্টারনেট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস এএফপিকে জানিয়েছে, এই ব্ল্যাকআউটের ফলে দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোর বড় অংশ অচল হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক ব্যবহারের মাত্র ১৭ শতাংশে নেমে আসে ওয়েব সংযোগ।