ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

দ্বিতীয়বারের মতো‘নারী আইপিএল’ জিতল মুম্বাই

দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) বা নারীদের আইপিএল শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অধিনায়ক হরমনপ্রীত করের ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং ন্যাট সিভার-ব্রান্টের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মুম্বাইকে জয়ের পথ গড়ে দেয়।

টানা তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ পায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বাইয়ের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে তারা। ম্যাচ শেষে হতাশায় কেঁদে ফেলেন দিল্লির অলরাউন্ডার মারিজানে ক্যাপসহ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।

দলের ব্যর্থতায় হতাশ দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং বলেন, ‘আমরা ফাইনালে আমাদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারিনি, যা খুবই হতাশার। তবে এটাই ক্রিকেট। আমাদের জন্য কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আমরা খুব হতাশ। নিজেদের ভালো অবস্থানে রেখেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারিনি।’

ন্যাট সিভার-ব্রান্ট বল হাতে তিনটি উইকেট শিকার করেন, আর অ্যামেলিয়া কের, যিনি পুরো মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৮টি উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন, তিনি নেন দুটি উইকেট।

দিল্লির ব্যাটিংয়ে কেবল মারিজানে ক্যাপ (৪০) ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ (৩০) কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় দল জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায়।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া দিল্লি শুরুতেই আক্রমণাত্মক বোলিং উপহার দেয়। তারা দ্রুত হেইলি ম্যাথিউজ ও ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে ফিরিয়ে দেয়, ফলে মুম্বাই ২০-২ স্কোর নিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করে।

তবে সেখান থেকে হরমনপ্রীত কৌর ও ন্যাট সিভার-ব্রান্ট ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। এই জুটির ব্যাট থেকে আসে ১৫টি বাউন্ডারি, যা দিল্লির বোলারদের চাপে ফেলে দেয়।

মৌসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ী ন্যাট সিভার-ব্রান্ট বলেন, ‘ডব্লিউপিএলে আমার জন্য এটি দুর্দান্ত একটি বছর। এত ক্রিকেট খেলার পর এই অবস্থানে আসতে পারা দারুণ অনুভূতি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি যতদিন পারি এই সাফল্যের মুহূর্তগুলো উপভোগ করব, কারণ ক্রিকেটে খারাপ সময়ও আসে। তাই যখন ভালো সময় আসে, তখন সেটাকে উপভোগ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ৪৪ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। সিভার-ব্রান্টের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট পড়লেও হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে দল ১৪৯-৭ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।

দিল্লির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মারিজানে ক্যাপ, যিনি ২ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া জেস জনাসেন ও নল্লাপুরেডি চারানি দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

ম্যাচ শেষে হরমনপ্রীত বলেন, ‘১৫০ রান আদর্শ স্কোর ছিল না, তবে এমন চাপের ম্যাচে এটা ১৮০ রানের মতো মনে হচ্ছিল। আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, পাওয়ারপ্লেতেই আমরা ব্রেকথ্রু পেতে পারি, আর শাবনিম ইসমাইল ও সিভার-ব্রান্ট সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এবং আমাদের ম্যাচ এনে দিয়েছে।’

‘আমরা সহজভাবে খেলতে চেয়েছি এবং দল হিসেবে সেটাই করেছি। দলের সাপোর্ট স্টাফদের সমর্থন ছিল অসাধারণ, আর আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি দারুণ খুশি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

দ্বিতীয়বারের মতো‘নারী আইপিএল’ জিতল মুম্বাই

আপডেট সময় ১১:৩১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) বা নারীদের আইপিএল শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অধিনায়ক হরমনপ্রীত করের ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং ন্যাট সিভার-ব্রান্টের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মুম্বাইকে জয়ের পথ গড়ে দেয়।

টানা তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ পায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বাইয়ের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে তারা। ম্যাচ শেষে হতাশায় কেঁদে ফেলেন দিল্লির অলরাউন্ডার মারিজানে ক্যাপসহ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।

দলের ব্যর্থতায় হতাশ দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং বলেন, ‘আমরা ফাইনালে আমাদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারিনি, যা খুবই হতাশার। তবে এটাই ক্রিকেট। আমাদের জন্য কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আমরা খুব হতাশ। নিজেদের ভালো অবস্থানে রেখেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারিনি।’

ন্যাট সিভার-ব্রান্ট বল হাতে তিনটি উইকেট শিকার করেন, আর অ্যামেলিয়া কের, যিনি পুরো মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৮টি উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন, তিনি নেন দুটি উইকেট।

দিল্লির ব্যাটিংয়ে কেবল মারিজানে ক্যাপ (৪০) ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ (৩০) কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় দল জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায়।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া দিল্লি শুরুতেই আক্রমণাত্মক বোলিং উপহার দেয়। তারা দ্রুত হেইলি ম্যাথিউজ ও ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে ফিরিয়ে দেয়, ফলে মুম্বাই ২০-২ স্কোর নিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করে।

তবে সেখান থেকে হরমনপ্রীত কৌর ও ন্যাট সিভার-ব্রান্ট ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। এই জুটির ব্যাট থেকে আসে ১৫টি বাউন্ডারি, যা দিল্লির বোলারদের চাপে ফেলে দেয়।

মৌসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ী ন্যাট সিভার-ব্রান্ট বলেন, ‘ডব্লিউপিএলে আমার জন্য এটি দুর্দান্ত একটি বছর। এত ক্রিকেট খেলার পর এই অবস্থানে আসতে পারা দারুণ অনুভূতি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি যতদিন পারি এই সাফল্যের মুহূর্তগুলো উপভোগ করব, কারণ ক্রিকেটে খারাপ সময়ও আসে। তাই যখন ভালো সময় আসে, তখন সেটাকে উপভোগ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ৪৪ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। সিভার-ব্রান্টের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট পড়লেও হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে দল ১৪৯-৭ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।

দিল্লির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মারিজানে ক্যাপ, যিনি ২ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া জেস জনাসেন ও নল্লাপুরেডি চারানি দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

ম্যাচ শেষে হরমনপ্রীত বলেন, ‘১৫০ রান আদর্শ স্কোর ছিল না, তবে এমন চাপের ম্যাচে এটা ১৮০ রানের মতো মনে হচ্ছিল। আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, পাওয়ারপ্লেতেই আমরা ব্রেকথ্রু পেতে পারি, আর শাবনিম ইসমাইল ও সিভার-ব্রান্ট সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এবং আমাদের ম্যাচ এনে দিয়েছে।’

‘আমরা সহজভাবে খেলতে চেয়েছি এবং দল হিসেবে সেটাই করেছি। দলের সাপোর্ট স্টাফদের সমর্থন ছিল অসাধারণ, আর আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি দারুণ খুশি।’