ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদায় জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিলেন জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার তিনি তার শেষ কার্যদিবসে একটি বিদায়ী ভিডিও পোস্ট করেছেন।

জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালের শরৎকালে লিবারেল নেতা হিসেবে তার প্রথম নির্বাচন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে কানাডার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়কালে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে মোকাবিলা, কোভিড-১৯ মহামারি এবং কানাডার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। ট্রুডো কানাডায় ফেডারেলভাবে গাঁজা বৈধ করেছেন এবং নিম্ন আয়ের কানাডিয়ানদের জন্য দৈনিক ১০ ডলার শিশু যত্ন এবং জাতীয় দন্তচিকিৎসা কর্মসূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কর্মসূচি চালু করেছিলেন।

বিদায়ী ভিডিওতে ট্রুডো বলেছেন, “আমি এমন একটি দেশের সেবা করতে পেরে গর্বিত যেখানে এমন মানুষ আছেন যারা সঠিক কাজের পক্ষে দাঁড়ান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যান এবং যখনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয় তখন একে অপরের পাশে থাকেন। হয়তো এই অফিসে আমার শেষ দিন, কিন্তু আমি সবসময়য় সাহসী এবং নিঃসন্দেহে কানাডিয়ান থাকব। আমার একটাই অনুরোধ, পৃথিবী আমাদের উপর যাই ছুঁড়ে ফেলুক না কেন, আপনারা সবসময় একতাবদ্ধ থাকবেন।”

গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। জনমত জরিপে দলের বাজে অবস্থা উঠে আসার পর দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রুডোর ক্ষমতা আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে তার ওপর।

জনপ্রিয় সংবাদ

শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

বিদায় জাস্টিন ট্রুডো

আপডেট সময় ০৮:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিলেন জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার তিনি তার শেষ কার্যদিবসে একটি বিদায়ী ভিডিও পোস্ট করেছেন।

জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালের শরৎকালে লিবারেল নেতা হিসেবে তার প্রথম নির্বাচন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে কানাডার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়কালে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে মোকাবিলা, কোভিড-১৯ মহামারি এবং কানাডার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। ট্রুডো কানাডায় ফেডারেলভাবে গাঁজা বৈধ করেছেন এবং নিম্ন আয়ের কানাডিয়ানদের জন্য দৈনিক ১০ ডলার শিশু যত্ন এবং জাতীয় দন্তচিকিৎসা কর্মসূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কর্মসূচি চালু করেছিলেন।

বিদায়ী ভিডিওতে ট্রুডো বলেছেন, “আমি এমন একটি দেশের সেবা করতে পেরে গর্বিত যেখানে এমন মানুষ আছেন যারা সঠিক কাজের পক্ষে দাঁড়ান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যান এবং যখনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয় তখন একে অপরের পাশে থাকেন। হয়তো এই অফিসে আমার শেষ দিন, কিন্তু আমি সবসময়য় সাহসী এবং নিঃসন্দেহে কানাডিয়ান থাকব। আমার একটাই অনুরোধ, পৃথিবী আমাদের উপর যাই ছুঁড়ে ফেলুক না কেন, আপনারা সবসময় একতাবদ্ধ থাকবেন।”

গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। জনমত জরিপে দলের বাজে অবস্থা উঠে আসার পর দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রুডোর ক্ষমতা আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে তার ওপর।