নোয়াখালী জেলার জুলাই আন্দোলনের শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর একমাত্র ভাই রিমনের ওপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী রিমনকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
প্রথমে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রিমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একাধিক জায়গায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রিমনের ভাষ্যমতে, হামলাকারীরা এক সময় বর্তমান সরকারের ছায়াতলে থেকে সুবিধাভোগ করেছিলো, আর বর্তমানে নব্য বিএনপি নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় রক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “এর আগেও দুইবার আমার ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এরা রক্ষা পেয়েছে। আজও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো।”
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, শহীদ রিজভীর মা ফোনে কান্নায় কথা বলতে পারছিলেন না। একমাত্র অবশিষ্ট সন্তান রিমনের ওপর এমন নৃশংস হামলায় পরিবারটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
এদিকে ঘটনার পর সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে হামলাকারীদের শেল্টার দেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার সাথে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে রয়েছে। স্থানীয় মানুষ এবং নেটিজেনরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, “এক শহীদ পরিবারের একমাত্র সন্তানের জীবনের নিরাপত্তা যদি না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”
ঘটনার ন্যায়বিচার ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি দেয়ার আহ্বানও উঠছে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
আবিদ/ঢাকা ভয়েস২৪