ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাহমুদউল্লাহর অবসরে যা বললেন তামিম-মাশরাফী

বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরের মাধ্যমে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর এবার ওয়ানডে থেকেও সরে দাঁড়ালেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ফলে বাংলাদেশের জার্সিতে বাইশ গজে আর দেখা যাবে না তাকে। তার বিদায়ে সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরা আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন, স্মরণ করেছেন একসঙ্গে কাটানো সময়ের মুহূর্তগুলো।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে মাহমুদউল্লাহ লেখেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’

তার এই ঘোষণার পরই সতীর্থরা শুভেচ্ছা বার্তা দিতে থাকেন।

তামিম ইকবাল মাহমুদউল্লাহকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, ‘একটি বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য অভিনন্দন, রিয়াদ ভাই। আপনি শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও আমাদের অনেকের অনুপ্রেরণা ছিলেন। ড্রেসিংরুমের সেই মুহূর্তগুলো মিস করব। দেশের ক্রিকেটে আপনার অবদানের জন্য ধন্যবাদ, আগামী দিনগুলোর জন্য শুভকামনা।’এক সময়ের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, ‘তোর নামের পাশে যে সংখ্যাগুলো আছে, সেসবের সীমানা ছাড়িয়ে তুই আমাদের কাছে আরও অনেক ওপরে।

আমরা জানি, দলের তোকে কতটা প্রয়োজন ছিল এবং দলের সেই চাওয়ার সঙ্গে তুই কতটা মিশে গিয়েছিলি। মাঠের ভেতরে-বাইরে কত স্মৃতি! কত আনন্দ, কত হতাশা ভাগাভাগি করেছি আমরা! অ্যাডিলেইড আর কার্ডিফের সেই দুই ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির কথা আজ আবার মনে পড়ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে তোর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আশা করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তোর পথ অনুসরণ করবে এবং বড় মঞ্চে তোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের ক্রিকেটে রেখে গেছেন স্মরণীয় অবদান। ওয়ানডেতে ২৩৯ ম্যাচে ৩৬ গড়ে ৫,৬৮৯ রান করেছেন, হাঁকিয়েছেন চারটি শতক ও ৩২টি অর্ধশতক। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৮২ উইকেট।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেও তার উপস্থিতি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ টেস্টে ২,৯১৪ রান ও ৪৩ উইকেট শিকার করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ১৪১ ম্যাচে তার সংগ্রহ ২,৪৪৪ রান এবং উইকেট সংখ্যা ৪১।

তার বিদায়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন নস্টালজিক, তেমনি সতীর্থদের চোখেও ফুটে উঠেছে স্মৃতির ঝলক। তবে মাঠ থেকে বিদায় না নিলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়েই থাকবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় ধর্ষণ মামলার আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

মাহমুদউল্লাহর অবসরে যা বললেন তামিম-মাশরাফী

আপডেট সময় ০৩:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরের মাধ্যমে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর এবার ওয়ানডে থেকেও সরে দাঁড়ালেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ফলে বাংলাদেশের জার্সিতে বাইশ গজে আর দেখা যাবে না তাকে। তার বিদায়ে সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরা আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন, স্মরণ করেছেন একসঙ্গে কাটানো সময়ের মুহূর্তগুলো।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে মাহমুদউল্লাহ লেখেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’

তার এই ঘোষণার পরই সতীর্থরা শুভেচ্ছা বার্তা দিতে থাকেন।

তামিম ইকবাল মাহমুদউল্লাহকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, ‘একটি বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য অভিনন্দন, রিয়াদ ভাই। আপনি শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও আমাদের অনেকের অনুপ্রেরণা ছিলেন। ড্রেসিংরুমের সেই মুহূর্তগুলো মিস করব। দেশের ক্রিকেটে আপনার অবদানের জন্য ধন্যবাদ, আগামী দিনগুলোর জন্য শুভকামনা।’এক সময়ের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, ‘তোর নামের পাশে যে সংখ্যাগুলো আছে, সেসবের সীমানা ছাড়িয়ে তুই আমাদের কাছে আরও অনেক ওপরে।

আমরা জানি, দলের তোকে কতটা প্রয়োজন ছিল এবং দলের সেই চাওয়ার সঙ্গে তুই কতটা মিশে গিয়েছিলি। মাঠের ভেতরে-বাইরে কত স্মৃতি! কত আনন্দ, কত হতাশা ভাগাভাগি করেছি আমরা! অ্যাডিলেইড আর কার্ডিফের সেই দুই ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির কথা আজ আবার মনে পড়ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে তোর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আশা করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তোর পথ অনুসরণ করবে এবং বড় মঞ্চে তোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের ক্রিকেটে রেখে গেছেন স্মরণীয় অবদান। ওয়ানডেতে ২৩৯ ম্যাচে ৩৬ গড়ে ৫,৬৮৯ রান করেছেন, হাঁকিয়েছেন চারটি শতক ও ৩২টি অর্ধশতক। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৮২ উইকেট।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেও তার উপস্থিতি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ টেস্টে ২,৯১৪ রান ও ৪৩ উইকেট শিকার করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ১৪১ ম্যাচে তার সংগ্রহ ২,৪৪৪ রান এবং উইকেট সংখ্যা ৪১।

তার বিদায়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন নস্টালজিক, তেমনি সতীর্থদের চোখেও ফুটে উঠেছে স্মৃতির ঝলক। তবে মাঠ থেকে বিদায় না নিলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়েই থাকবেন।