ভারতের দখলকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৬ দিন পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে এখনো প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবশ্য ২ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার কথা জানিয়েছে তারা।
প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলেও কোনো প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহভাজন আখ্যা দিয়ে মুসলিমদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবরে বলা হয়েছে, কাশ্মিরের কুলগাম জেলায় সেনাবাহিনী ও সিআরপিএফের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ২ সন্ত্রাসবাদী সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে কুলগাম পুলিশ। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাতালহামা চক থোকারপোরায় এক তল্লাশি চৌকিতে দুজনকে আটক করা হয় এবং পরে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট ও মোহাম্মদ ইসমাইল ভাট। তারা দুজনই থোকারপোরার বাসিন্দা।
এদিকে, পেহেলগাম হামলায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জম্মু-কাশ্মীরে তথাকথিত ১০ ‘সন্ত্রাসীর’ বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অথচ, এই তথাকথিত ১০ সন্ত্রাসী এই হামলায় জড়িত ছিল কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্যই দেয়নি ভারত সরকার।
গত ৫ দিনে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ১০ স্থানীয় ‘সন্ত্রাসীর’ বাড়ি ভেঙে দিয়েছে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পর্যন্ত যাদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে তাদের সবাইকে সন্ত্রাসী বলে দাবি করেছে ভারত, যদিও কোনো প্রমাণ দেয়নি দেশটি।
যেসব ব্যক্তির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা সবাই স্থানীয় মুসলমান। তারা হলেন—আদিল হুসেন থোকার, জাকির আহমেদ গানাই, আমির আহমেদ দার এবং আসিফ শেখ, শহীদ আহমেদ কুট্টে, আহসান উল হক, আমির নাজির ওয়ানি, জামিল আহমেদ শের গোজরি, আদনান সাফি দার এবং ফারুক আহমেদ টেডওয়া।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, আহসান উল হক ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সম্প্রতি উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করেন। শহীদ আহমেদ কুট্টে লস্কর-ই-তৈয়্যবার কমান্ডার। জাকির আহমেদ গনি একাধিক সন্ত্রাস-সম্পর্কিত কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহে নজরদারিতে ছিলেন। ফারুক আহমেদ টেডওয়া পাকিস্তান থেকে কাজ করছেন। গত মঙ্গলবারের হামলায় থোকার সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাড়ি ভাঙচুর এবং তল্লাশির উদ্দেশ্য জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের জাল ছিন্ন করা।