ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

প্রেমে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ

বরগুনা সদর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ৫ মার্চ ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামি সীজিব চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্তের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। কিন্তু, বাদী মামলা তুলে নেননি। এজন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ির পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘‘গত রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বামীর মোবাইলে করি। সে সময় বাড়ির পেছন থেকে তার মোবাইলের রিংটোনের শব্দ ভেসে আসছিল। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি, তার মরদেহ পড়ে আছে।’’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘গত ৪ মার্চ আমার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে সীজিব চন্দ্র রায়। পরদিন এ ঘটনায় ওর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই সীজিবকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল সিজীবের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করেছে শ্রীরাম।’’

বাদীপক্ষের আইনজীবী বাবুল দাস বলেন, আদালতে আজ ধর্ষণ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। এর আগে, বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন শ্রীরাম চন্দ্র রায়। আজ তার মরদেহ পাওয়া গেল।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণ মামলার বাদীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শ্রীরাম চন্দ্র রায়সহ ৪ জনকে আটক করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

প্রেমে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:১৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

বরগুনা সদর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ৫ মার্চ ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামি সীজিব চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্তের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। কিন্তু, বাদী মামলা তুলে নেননি। এজন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ির পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘‘গত রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বামীর মোবাইলে করি। সে সময় বাড়ির পেছন থেকে তার মোবাইলের রিংটোনের শব্দ ভেসে আসছিল। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি, তার মরদেহ পড়ে আছে।’’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘গত ৪ মার্চ আমার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে সীজিব চন্দ্র রায়। পরদিন এ ঘটনায় ওর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই সীজিবকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল সিজীবের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করেছে শ্রীরাম।’’

বাদীপক্ষের আইনজীবী বাবুল দাস বলেন, আদালতে আজ ধর্ষণ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। এর আগে, বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন শ্রীরাম চন্দ্র রায়। আজ তার মরদেহ পাওয়া গেল।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণ মামলার বাদীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শ্রীরাম চন্দ্র রায়সহ ৪ জনকে আটক করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।