ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনেরে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 151

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকে ৬নং রোডে ভাড়া বাসায় তাকে গলায় ফাঁসরত ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে আমার গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে আমার ভাগনী মারা গেছে। আমি দৌঁড়ে হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগনি মরদেহ হাসপাতালে পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমার বোন স্বামী হারা হয়েছে। এখন মেয়েকে হারিয়েছে। আমার ভাগনীর ধর্ষকরা জামিনে এসে গেছে। এখন আমার ভাগনী চলে গেছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। কে বিচার করবে আমাদের।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে আদাবর থানার ডিউটি অফিসার মো. তরুণ বলেন, শেখেরটেকে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশের একটি দল এখন ভিকটিমকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। তারা থানায় ফিরলে এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে কলেজ ছাত্রী লামিয়া নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে লামিয়া নিজে বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কয়েকদিন পর ‘আমরা হয়ত বালু খাব’: ফিলিস্তিনি নারী

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনেরে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকে ৬নং রোডে ভাড়া বাসায় তাকে গলায় ফাঁসরত ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে আমার গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে আমার ভাগনী মারা গেছে। আমি দৌঁড়ে হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগনি মরদেহ হাসপাতালে পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমার বোন স্বামী হারা হয়েছে। এখন মেয়েকে হারিয়েছে। আমার ভাগনীর ধর্ষকরা জামিনে এসে গেছে। এখন আমার ভাগনী চলে গেছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। কে বিচার করবে আমাদের।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে আদাবর থানার ডিউটি অফিসার মো. তরুণ বলেন, শেখেরটেকে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশের একটি দল এখন ভিকটিমকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। তারা থানায় ফিরলে এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে কলেজ ছাত্রী লামিয়া নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে লামিয়া নিজে বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন।