ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত রিকশাচালকের মৃত্যু Logo জনগণের সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান Logo রাজনীতিতে চাঁদাবাজদের স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম Logo বিদ্যুতের অপচয় রোধে ডিপিডিসির ৭ নির্দেশনা Logo প্রবাসীদের ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিকে অভিনন্দন জামায়াতে আমিরের Logo টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০ বছর পূর্তিতে রঙিন আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া Logo জামায়াত আমিরের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মতবিনিময় Logo গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পেছাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে: আমীর খসরু Logo রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চাই না: হাসনাত আব্দুল্লাহ Logo খুলনায় গৃহবধূকে জিম্মি করে দিনের পর দিন ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত আরও ৪ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালাচ্ছে এবং এতে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।এদিকে সর্বশেষ প্রাণহানির ঘটনায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৮ হাজার ৪৬০ ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার (১০ মার্চ) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ।

বার্তাসংস্থাটি প্রতিবেদনে বলছে, গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৪৬৭ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯১৩ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত রিকশাচালকের মৃত্যু

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত আরও ৪ ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ০৯:০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালাচ্ছে এবং এতে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।এদিকে সর্বশেষ প্রাণহানির ঘটনায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৮ হাজার ৪৬০ ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার (১০ মার্চ) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ।

বার্তাসংস্থাটি প্রতিবেদনে বলছে, গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৪৬৭ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯১৩ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।