ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল Logo চাঁদাবাজদের বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলব : মুহাম্মদ রেজাউল করীম Logo আজ জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ, রাজধানীতে নেতাকর্মীদের ঢল Logo আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo টিভিতে আজকের খেলা Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রামটির নদীতীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
২৫ এপ্রিল (শুক্রবার বার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কৃষকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের একের পর এক জমি। কৃষক কাশেম বলেন, “আমার বড় বড় তিনটি জমি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে, এখন শেষটুকুও হুমকির মুখে। এই জমি হারালে আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।”
শুধু কাশেম নয়, একই দুর্দশার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক আজিজ, ওমরসহ শতাধিক পরিবার। নদীর ভাঙনে অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে।
এলাকার বাসিন্দা তমিজ, রমিজদের মতো অসংখ্য মানুষ দিন কাটাচ্ছেন অজানা আতঙ্কে। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ব্লক ফেলে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে ফসলী জমি রক্ষা করা হোক। নইলে অচিরেই হাজারো কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রামটির নদীতীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
২৫ এপ্রিল (শুক্রবার বার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কৃষকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের একের পর এক জমি। কৃষক কাশেম বলেন, “আমার বড় বড় তিনটি জমি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে, এখন শেষটুকুও হুমকির মুখে। এই জমি হারালে আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।”
শুধু কাশেম নয়, একই দুর্দশার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক আজিজ, ওমরসহ শতাধিক পরিবার। নদীর ভাঙনে অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে।
এলাকার বাসিন্দা তমিজ, রমিজদের মতো অসংখ্য মানুষ দিন কাটাচ্ছেন অজানা আতঙ্কে। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ব্লক ফেলে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে ফসলী জমি রক্ষা করা হোক। নইলে অচিরেই হাজারো কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।