ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইরানিদের ‘শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান খামেনির Logo খামেনিকে হত্যার প্রকাশ্য হুমকি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo আইআরজিসির স্থলবাহিনীর নতুন কমান্ডার মোহাম্মদ কারামি Logo মুশফিকের সেঞ্চুরি রেকর্ড ধামাকা Logo এখন থেকে ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি থাকবে Logo গুমের শিকার ব্যক্তিদের ৪ পরিণতি হতো, যেসব ‘ফাঁদে’আ’লীগ সরকার Logo ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের বিমান হামলা Logo কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু Logo জুলাই সনদ,রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে,সেলিম উদ্দিন Logo অবিলম্বে জুলাই সনদ প্রণয়ন, রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রামটির নদীতীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
২৫ এপ্রিল (শুক্রবার বার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কৃষকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের একের পর এক জমি। কৃষক কাশেম বলেন, “আমার বড় বড় তিনটি জমি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে, এখন শেষটুকুও হুমকির মুখে। এই জমি হারালে আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।”
শুধু কাশেম নয়, একই দুর্দশার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক আজিজ, ওমরসহ শতাধিক পরিবার। নদীর ভাঙনে অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে।
এলাকার বাসিন্দা তমিজ, রমিজদের মতো অসংখ্য মানুষ দিন কাটাচ্ছেন অজানা আতঙ্কে। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ব্লক ফেলে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে ফসলী জমি রক্ষা করা হোক। নইলে অচিরেই হাজারো কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

ট্যাগস :

ইরানিদের ‘শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান খামেনির

নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রামটির নদীতীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
২৫ এপ্রিল (শুক্রবার বার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কৃষকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের একের পর এক জমি। কৃষক কাশেম বলেন, “আমার বড় বড় তিনটি জমি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে, এখন শেষটুকুও হুমকির মুখে। এই জমি হারালে আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।”
শুধু কাশেম নয়, একই দুর্দশার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক আজিজ, ওমরসহ শতাধিক পরিবার। নদীর ভাঙনে অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে।
এলাকার বাসিন্দা তমিজ, রমিজদের মতো অসংখ্য মানুষ দিন কাটাচ্ছেন অজানা আতঙ্কে। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ব্লক ফেলে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে ফসলী জমি রক্ষা করা হোক। নইলে অচিরেই হাজারো কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।