মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি থাকা ২৯ জেলেকে ফেরত এনেছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীতে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আরাকান আর্মি বিজিবির কাছে তাদের হাতে আটক ২৯ জন জেলে ও মাঝিমাল্লাকে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদেরকে ট্রলারে করে টেকনাফ জেটি ঘাটে নিয়ে আসে।
ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকি ১৪ জন এফডিএমএন সদস্য। ১৫ বাংলাদেশি নাগরিক হলেন- টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের মৃত তৈয়বের ছেলে মোঃ হাসান (৩০), মোঃ সলিমুল্লার ছেলে মোঃ জাবেদ (১৮), কবির আহমেদের ছেলে মোঃ আঃ রহিম (১৭), মৃত আলমের ছেলে মোঃ হাসান (১৯), খুল্যা মিয়ার ছেলে মোঃ কালা মিয়া (৩৭), মোঃ সৈয়দ আলমের ছেলে মোঃ নুরুল আলম (৩৯), শামসুল আলমের ছেলে আব্দুর রহমান (১৯), সুলতান আহমেদের ছেলে মোঃ কালাম আহমেদ (২৯), ফয়জল করিমের ছেলে মোঃ লাইল্যা (১১), আব্দুল আমিনের ছেলে মোঃ কবির আহমেদ (৪৩), কবির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (২৩), সোনামিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৪), রশিদ আহমেদের ছেলে মোঃ লুতফর রহমান (২৩), আব্দুল মান্নানের ছেলে রহিম উল্লাহ (২১) ও নূর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ ফয়সাল।
১৪ জন এফডিএমএন সদস্য হলেন- ৮ নম্বর (ইস্ট) বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের নুর সালামের ছেলে ফারুক মাঝি, ২৫ নম্বর আলীখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের ইকরামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ, ৭ নম্বর কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পের নাজির হোসেনের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম, ১৩ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের দলিজানের ছেলে আব্দুল মোনাফ, হোছন আলীর ছেলে তৈয়ব আলী, মোঃ সালামের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ মাঝি, নূর মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম, নূর মোহাম্মদের ছেলে ইমাম হোসেন, থান্ডা মিয়ার ছেলে মোঃ হোছন আহমেদ, হোছন আহমেদের ছেলে নেজামুদ্দিন (৩০), নুর মোহাম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ (৩২), সোনামিয়ার ছেলে নুর হোছন, মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কবির আহম্মদ এবং মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে হামিদ হোসেন।
উল্লেখ, গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬টি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে ভুলবশত মায়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করেন। এসময় মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি তাদের আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেলেদের পরিবারের অনুরোধে বিজিবি তৎপর হয়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন করে এবং দীর্ঘ আলোচনার পর আজ জেলেদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
ফেরত আসা জেলেদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।