মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে মাদ্রাসায় হামলাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি সন্ত্রাসী চান মিয়াসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর আবাসিক এলাকাধীন চান মিয়ার বসতবাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসা বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছিল ওই এলাকার চান মিয়া। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ওই এরিয়ার রাস্তার পাশে চান মিয়ার বাড়ি। চান মিয়া মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং এই রাস্তা বন্ধ করতেই সে ড্রেন বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল, যাতে তার মাদক ব্যবসা সহজ হয়। মাদ্রাসার নিজস্ব জায়গায় ড্রেন থাকলেও বৃহষ্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) চান মিয়ার লোকজন মাদ্রাসার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেয়। এর কারণ জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ মাদ্রাসায় হামলা চালায় চান মিয়ার লোকজন। এতে ছাত্র এবং শিক্ষকরা আহত হন। খবর পেলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে চান মিয়াসহ তিন জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শ্রমিক দলের শেরপুর আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি চান মিয়া (৫০), নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩০) ও খালেদ মিয়া (২৮)।
মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম বলেন, আমার ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি, সে আমাদের শেরপুর আঞ্চলিক শাখার সদস্য নয়।
শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শিপু কুমার দাস বলেন, চান মিয়া মাদ্রাসার ড্রেন বন্ধ করে দিলে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।