ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় বদলার আগুনে ফুঁসছে নয়াদিল্লি। ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে ভারত। অন্য দিকে যুদ্ধের আশঙ্কায় পাল্টা প্রস্তুতি চালাচ্ছে ইসলামাবাদ। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া ঘাঁটিগুলিতে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন পাকিস্তান। এই খবর ছড়িয়ে পড়লেও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তরফে অবশ্য এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ইসলামাবাদের সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ মিলেছে বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর স্ক্রিনশট থেকে। এক্স হ্যান্ডলে সেগুলিকে ছড়িয়ে দেন নেটাগরিকদের একাংশ। ওই স্ক্রিনশট অনুযায়ী, করাচি বিমানঘাঁটি থেকে একের পর এক বিমান লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, করাচির ‘সাউথ এয়ার কমান্ড’ থেকেই গোটা দক্ষিণাঞ্চলের যাবতীয় অপারেশন পরিচালনা করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী। উত্তরাঞ্চলে ভারতের সীমান্তের কাছে ইসলামাবাদের মোট চারটি বিমানঘাঁটি রয়েছে। সেগুলি হল, লাহোর সংলগ্ন সারগোধা ও মুরিদ এবং রাওয়ালপিন্ডি সংলগ্ন চাকলালা ও নুর খান। এই ঘাঁটিগুলিকে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর শিরদাঁড়া বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
উল্লেখ্য, ভারত লাগোয়া ঘাঁটিগুলির মধ্যে লাহোর সংলগ্ন মুরিদে আবার মোতায়েন রয়েছে নজরদারি এবং হামলাকারী ড্রোন। কয়েক বছর আগে তুরস্কের থেকে বাইরাক্তার টিবি-২ নামের মানববিহীন উডুক্কু যান কেনে ইসলামাবাদ। সেগুলির প্রায় সব ক’টি ওই ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। ২০২০ সালে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আজারবাইজানের জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই ড্রোন।
বিমানঘাঁটির পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলওসি) উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সেখানকার বাঙ্কারগুলিতেও সেনাসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের দাবি, ভারতের সঙ্গে সম্মুখসমরে যেতে যে ইসালামাবাদ প্রস্তুত, এই সব পদক্ষেপেই রয়েছে তার ইঙ্গিত।