বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন,
“হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি বলেছেন, “আমরা বারবার জোর দিয়ে বলেছি যে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
জয়সওয়াল দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দুই হাজার ৩৭৪টিরও বেশি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এর মধ্যে মাত্র এক হাজার ২৫৪টি যাচাই করেছে। অধিকন্তু, এই ঘটনাগুলির ৯৮ শতাংশ ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’ বলে বিবেচিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি বাংলাদেশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে এবং হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং সহিংসতার সমস্ত অপরাধীদের এই ধরনের পার্থক্য না করে বিচারের আওতায় আনবে। গুরুতর অপরাধের জন্য দণ্ডিত সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তির বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার ভাষ্য, বিষয়টি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাচ্ছে।
বাংলাদেশে নতুন দল ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) গঠনের প্রতিক্রিয়ায় জয়সওয়াল বলেন, আমরা একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন করি যেখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করা হয়। গুরুতর অপরাধের জন্য দণ্ডিত সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তির ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারত সংখ্যালঘু তথা হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের দাবি করে আসছে এবং উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।