যশোরে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তির দুই চোখ উপড়ে নিয়েছেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শহরের বকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার চার ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে (২৮) আটক করেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত শহিদুল ইসলাম সম্পর্কে সাদ্দাম হোসেনের খালু। দীর্ঘদিন ধরে শহিদুলের সঙ্গে সাদ্দামের স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাদ্দাম এই ভয়ংকর হামলা চালান।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়।
এসময় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ট্রাকচালক সাদ্দাম হোসেনের খালু শহিদুল ইসলাম। সাদ্দাম হোসেনের দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীকে দুই মাস আগে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর সাদ্দাম জানতে পারেন তার খালুর সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রথম স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক এবং এইপরকীয়া সম্পর্কের কারণে তার সংসার ভেঙেছে। প্রাক্তন স্বামীকে তালাকের পর খালুর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানান তার স্ত্রী নিজেই।
আটকের পর সাদ্দাম হোসেন পুলিশকে জানান, তার বড় স্ত্রী স্বীকার করেছে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে তার সাথে সংসার করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয় জানার পর তিনিক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং শহিদুল ইসলামের দুই চোখ আঙুল দিয়ে উপড়ে ফেলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, চোখ উপড়ানোর ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের তিনটি টিম গঠন করা হয়। রাত ১২ টার দিকে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমের সদস্যরা তাকে আটক করতে সক্ষম হন। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, দুই চোখ উপড়ে নিলে স্থানীয়রা রাত ৯টার দিকে আহত শহিদুলকে উদ্ধ্বার করে যশোর সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশসুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবীব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবুল বাশার ও জেলাগোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি উপস্থিত ছিলেন।