বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ২০৩০ আসর হতে যাচ্ছে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে অনন্য বিশ্বকাপ! প্রথমবারের মতো ছয়টি দেশে আয়োজিত হবে এই টুর্নামেন্ট—আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে হবে উদ্বোধনী ম্যাচ, বাকি অংশ অনুষ্ঠিত হবে স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কোতে। তবে এতেই শেষ নয়, এবার আরও বিস্ময়কর পরিবর্তনের চিন্তা করছে ফিফা!
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসে বিশ্বকাপের দল সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৪ করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ফিফা। কাতার ২০২২-এ যেখানে ৩২টি দল অংশ নিয়েছিল, ২০২৬ আসরে যা বেড়ে ৪৮ হচ্ছে, সেখানে এবার ২০৩০ বিশ্বকাপে এটা ৬৪ এ নিয়ে যাওয়ার ভাবনা ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বড় আসর! যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
এদিকে বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজনের জন্য এখন দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তিনটি শহর মর্যাদাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের জন্য শক্ত অবস্থানে আছে:
মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদের ঐতিহাসিক সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামকে বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য তুলে ধরছে স্পেন।
বার্সেলোনা: নবনির্মিত ক্যাম্প ন্যু, যার ধারণক্ষমতা হবে ১,০৫,০০০ দর্শকের, স্পেনের অন্যতম বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কাসাব্লাঙ্কা: মরক্কোর হাছান II স্টেডিয়ামের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা চলছে, যা ১,১৫,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা নিয়ে সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় ফাইনাল ভেন্যু হতে পারে!
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার ম্যাচটি কোথায় হবে, তা নিয়ে এখনই উত্তেজনা তুঙ্গে। ফিফা কবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই দেখার বিষয়!
বিশ্বকাপ মানেই ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট আয়োজন, আর ফিফা এবার সেটিকে আরও বড়, আরও ঐতিহাসিক করতে চায়। যদি ৬৪ দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে বিশ্ব ফুটবলের নতুন দিগন্তের সূচনা। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এত বড় আসর কি ফুটবলের মান ধরে রাখতে পারবে? নাকি এটি শুধুই একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা?
২০২৬ বিশ্বকাপের পরই ফিফা ২০৩০-এর জন্য চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে, আর পুরো ফুটবল বিশ্ব তাকিয়ে আছে সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার অপেক্ষায়!