ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চলতি মাসের ২৪ দিনে এল ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স Logo কুমারখালী সাহিত্য সংসদের আয়োজন জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মজয়ন্তী পালন Logo কবি নজরুল কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন Logo বাংলাদেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে চীন: আমেরিকা Logo সবাই একসঙ্গে বসায় মনে সাহস পেলাম: প্রধান উপদেষ্টা Logo হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ৪ যুবকের বিষপান Logo মধুপুর শালবনে আবারও শাল গাছ ফেরত আনার ঘোষণা উপদেষ্টা রিজওয়ানার Logo ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান Logo ‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’ Logo ‘স্বৈরাচার সকল ছিদ্র বন্ধ করলেও পতনের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে না’

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঢাকা কলেজ জিমনেশিয়াম, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা

  • মাহাদী হাসান
  • আপডেট সময় ০৫:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • 66

জিমনেশিয়ামের সরঞ্জাম অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে

বছরের পর বছর ধরে ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত জিমনেশিয়ামটি পড়ে আছে সম্পূর্ণ অচল অবস্থায়। শরীরচর্চার জন্য নেই আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি। যেগুলো রয়েছে, সেগুলোতেও মরিচা পড়ে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে শরীরচর্চার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

গত কয়েক বছরে কলেজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও, শরীরচর্চার একমাত্র স্থান জিমনেশিয়ামে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শরীরচর্চা নিয়ে আগ্রহ কমে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জিমনেশিয়ামের মেঝে ধুলোর আস্তরণে ঢাকা। ব্যায়ামের জন্য থাকা মাল্টিজিম মেশিন, সিটার বেঞ্চ, ইলিপটিক্যাল ট্রেনার, স্টেশনারি এক্সারসাইজ বাইক এবং ম্যানুয়াল ট্রেডমিল দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

জিমনেশিয়াম ভবনে খেলাধুলার জন্য থাকলেও দুইটি টেবিল টেনিস বোর্ড, ব্যাট ও বলের সংকটে তা ব্যবহৃত হচ্ছে না। আছে তিনটি ক্যারাম বোর্ড ও কিছু দাবা, তবে সেগুলোর অবস্থাও নাজুক। নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা কিংবা ব্যবহারযোগ্য ওয়াশরুম।

কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান বলেন, “জিমনেশিয়ামের কোনো সরঞ্জামই ভালো নেই। এটি আধুনিকায়ন করা এখন সময়ের দাবি। কলেজ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিমনিশিয়ামের এক কর্মচারী জানান, “গত ২০ বছরে তেমন কোনো কাজ হয়নি। আগে শিক্ষার্থীরা আসলেও এখন তাদের দেখা মেলে না জিমনেশিয়ামে।”

শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বরত শিক্ষক সালাউদ্দিন জানান,  “ক্যারাম, দাবা ছিল এগুলো অনেক পুরানো। আমি অনেকবার এগুলো পরিবর্তন করার কথা বলেছি। আমার হাতে তেমন কোন পাওয়ার নেই যে আমি ঠিক করে দিতে পারব।  যিনি প্রিন্সিপাল থাকেন তিনি এই ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এটা সম্ভব হবে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার বলেন, আমি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি তাই এই বিষয়ে আমার তেমন জানা নেই। সংশ্লিষ্ট  বিভাগের শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চলতি মাসের ২৪ দিনে এল ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঢাকা কলেজ জিমনেশিয়াম, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা

আপডেট সময় ০৫:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

বছরের পর বছর ধরে ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত জিমনেশিয়ামটি পড়ে আছে সম্পূর্ণ অচল অবস্থায়। শরীরচর্চার জন্য নেই আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি। যেগুলো রয়েছে, সেগুলোতেও মরিচা পড়ে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে শরীরচর্চার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

গত কয়েক বছরে কলেজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও, শরীরচর্চার একমাত্র স্থান জিমনেশিয়ামে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শরীরচর্চা নিয়ে আগ্রহ কমে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জিমনেশিয়ামের মেঝে ধুলোর আস্তরণে ঢাকা। ব্যায়ামের জন্য থাকা মাল্টিজিম মেশিন, সিটার বেঞ্চ, ইলিপটিক্যাল ট্রেনার, স্টেশনারি এক্সারসাইজ বাইক এবং ম্যানুয়াল ট্রেডমিল দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

জিমনেশিয়াম ভবনে খেলাধুলার জন্য থাকলেও দুইটি টেবিল টেনিস বোর্ড, ব্যাট ও বলের সংকটে তা ব্যবহৃত হচ্ছে না। আছে তিনটি ক্যারাম বোর্ড ও কিছু দাবা, তবে সেগুলোর অবস্থাও নাজুক। নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা কিংবা ব্যবহারযোগ্য ওয়াশরুম।

কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান বলেন, “জিমনেশিয়ামের কোনো সরঞ্জামই ভালো নেই। এটি আধুনিকায়ন করা এখন সময়ের দাবি। কলেজ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিমনিশিয়ামের এক কর্মচারী জানান, “গত ২০ বছরে তেমন কোনো কাজ হয়নি। আগে শিক্ষার্থীরা আসলেও এখন তাদের দেখা মেলে না জিমনেশিয়ামে।”

শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বরত শিক্ষক সালাউদ্দিন জানান,  “ক্যারাম, দাবা ছিল এগুলো অনেক পুরানো। আমি অনেকবার এগুলো পরিবর্তন করার কথা বলেছি। আমার হাতে তেমন কোন পাওয়ার নেই যে আমি ঠিক করে দিতে পারব।  যিনি প্রিন্সিপাল থাকেন তিনি এই ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এটা সম্ভব হবে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার বলেন, আমি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি তাই এই বিষয়ে আমার তেমন জানা নেই। সংশ্লিষ্ট  বিভাগের শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।