ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীতে স্ক্র্যাপ মালামাল নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা

স্ক্র্যাপ (বর্জিত লোহা-লক্কড়, টায়ার) মালামাল নেওয়াকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার নিটল-টাটা কারখানার সার্ভিস সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কর্মী ও মোশাররফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ওই কারখানার স্ক্র্যাপ টেন্ডার নিয়ে আসছিলেন। বুধবার সকালে তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্ক্র্যাপ মালামাল নিতে গেলে পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আল-মামুন ওরফে মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল লোক বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে ইয়াজউদ্দিন পিন্টু, দিপু সহ ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ হোসেন।

মোশাররফের দাবি, মামুন হাওলাদার ও তার সহযোগীরা স্ক্র্যাপ নিতে না দিয়ে হুমকি দেন এবং বলপ্রয়োগের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিরাজ নামের একজন ব্যক্তি স্ক্র্যাপ মাল নিতে গেলে মোশাররফ, জালাল, কাজলসহ কয়েকজন বাধা দেয়। খবর পেয়ে তিনি সেখানে উপস্থিত হন।

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে কোনো সংঘর্ষ হয়নি, তবে উত্তেজনা ছিল। কারখানার কর্তৃপক্ষ কোনো পক্ষকেই মালামাল দেয়নি এবং পুনরায় টেন্ডার দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে: ট্রুডো

টঙ্গীতে স্ক্র্যাপ মালামাল নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা

আপডেট সময় ১১:৩৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

স্ক্র্যাপ (বর্জিত লোহা-লক্কড়, টায়ার) মালামাল নেওয়াকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার নিটল-টাটা কারখানার সার্ভিস সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কর্মী ও মোশাররফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ওই কারখানার স্ক্র্যাপ টেন্ডার নিয়ে আসছিলেন। বুধবার সকালে তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্ক্র্যাপ মালামাল নিতে গেলে পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আল-মামুন ওরফে মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল লোক বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে ইয়াজউদ্দিন পিন্টু, দিপু সহ ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ হোসেন।

মোশাররফের দাবি, মামুন হাওলাদার ও তার সহযোগীরা স্ক্র্যাপ নিতে না দিয়ে হুমকি দেন এবং বলপ্রয়োগের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিরাজ নামের একজন ব্যক্তি স্ক্র্যাপ মাল নিতে গেলে মোশাররফ, জালাল, কাজলসহ কয়েকজন বাধা দেয়। খবর পেয়ে তিনি সেখানে উপস্থিত হন।

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে কোনো সংঘর্ষ হয়নি, তবে উত্তেজনা ছিল। কারখানার কর্তৃপক্ষ কোনো পক্ষকেই মালামাল দেয়নি এবং পুনরায় টেন্ডার দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।