ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রকাশ্যে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই আসামিকে অপহরণ

গাজীপুরের রাজবাড়ী এলাকায় জেলা জজ আদালত চত্বরে জামিন পাওয়া দুই সহোদর আসামিকে মারধর করে অপহরণ করেছে বাদীপক্ষ। এ সময় নারী-পুরুষসহ ১৩ আসামিকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত দুই আসামি হলেন গাজীপুরের শ্রীপুর থানার তেলিহাটি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মিলন মিয়া (৩৫) ও বাবুল মিয়া (৪০)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং জিএমপি সদর মেট্রো থানার ওসি মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় মামলার বাদী এস এম নাজমুল হক নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে।

অপর আসামি এনামুল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে বাদী নাজমুল হক জমি সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন। আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পাওয়ার পরপরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।

তিনি বলেন, আমরা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বাদী ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন দা, চাকু, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের পথরোধ করে। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে জানালে তিনি আমাদের আনতে দুই কর্মচারী পাঠান। কিন্তু তাদের সামনেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, জামিনের পরপরই আসামিরা বাদীপক্ষের অস্ত্রধারীদের দেখে ভয় পেয়ে বিষয়টি তাকে জানান।

আমি তাদের নিরাপদে নিয়ে আসতে কর্মচারী পাঠাই। কিন্তু আদালত চত্বরে বাদীপক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আইনজীবী সমিতির দুই কর্মচারীও গুরুতর আহত হন। কর্মচারী আইয়ুব আলীর মাথায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে, বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে দুইজন পুলিশ সদস্য ছিলেন, তবে তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে এবং আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জিএমপি সদর মেট্রো থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আদালত চত্বরে হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদল চাইলে গুপ্ত সংগঠনের অস্তিত্ব থাকবে না: ছাত্রদল সভাপতি

প্রকাশ্যে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই আসামিকে অপহরণ

আপডেট সময় ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজীপুরের রাজবাড়ী এলাকায় জেলা জজ আদালত চত্বরে জামিন পাওয়া দুই সহোদর আসামিকে মারধর করে অপহরণ করেছে বাদীপক্ষ। এ সময় নারী-পুরুষসহ ১৩ আসামিকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত দুই আসামি হলেন গাজীপুরের শ্রীপুর থানার তেলিহাটি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মিলন মিয়া (৩৫) ও বাবুল মিয়া (৪০)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং জিএমপি সদর মেট্রো থানার ওসি মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় মামলার বাদী এস এম নাজমুল হক নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে।

অপর আসামি এনামুল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে বাদী নাজমুল হক জমি সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন। আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পাওয়ার পরপরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।

তিনি বলেন, আমরা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বাদী ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন দা, চাকু, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের পথরোধ করে। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে জানালে তিনি আমাদের আনতে দুই কর্মচারী পাঠান। কিন্তু তাদের সামনেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, জামিনের পরপরই আসামিরা বাদীপক্ষের অস্ত্রধারীদের দেখে ভয় পেয়ে বিষয়টি তাকে জানান।

আমি তাদের নিরাপদে নিয়ে আসতে কর্মচারী পাঠাই। কিন্তু আদালত চত্বরে বাদীপক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আইনজীবী সমিতির দুই কর্মচারীও গুরুতর আহত হন। কর্মচারী আইয়ুব আলীর মাথায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে, বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে দুইজন পুলিশ সদস্য ছিলেন, তবে তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে এবং আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জিএমপি সদর মেট্রো থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আদালত চত্বরে হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।