ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান জামায়াতের মহিলা বিভাগের

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান জামায়াতের মহিলা বিভাগের

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদ্য জমা দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোকে “বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত্যাশার সাথে সাংঘর্ষিক” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মহিলা বিভাগ।

সুপারিশকৃত রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকা এক বিবৃতিতে বলেন, ৯০% মুসলিমের এদেশে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে যা সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করেছে। অপরদিকে এই প্রতিবেদন কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর বিষয় হলো, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা এবং অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণ-পোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ। এটি সকল ধর্মের মতামত ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, “ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে।”

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর আইন কেউ ব্যক্তিগতভাবে না মানলেও তার কোনো অধিকার নেই এতে হস্তক্ষেপ করার। বাংলাদেশের ৯ কোটি নারী এই কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। জামায়াতের মহিলা বিভাগের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।

এছাড়াও, তিনি জানান, এই কমিশনের সদস্যরা সমাজের সকল শ্রেণীর নারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। বিশেষ করে এখানে ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন কোনো নারী প্রতিনিধি নেই। তাই তিনি নারী কমিশনের প্রতিবেদন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান এবং ইসলামী চিন্তাশীল নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি পুনঃলিখনের দাবি জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান জামায়াতের মহিলা বিভাগের

আপডেট সময় ০৯:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদ্য জমা দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোকে “বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত্যাশার সাথে সাংঘর্ষিক” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মহিলা বিভাগ।

সুপারিশকৃত রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকা এক বিবৃতিতে বলেন, ৯০% মুসলিমের এদেশে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে যা সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করেছে। অপরদিকে এই প্রতিবেদন কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর বিষয় হলো, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা এবং অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণ-পোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ। এটি সকল ধর্মের মতামত ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, “ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে।”

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর আইন কেউ ব্যক্তিগতভাবে না মানলেও তার কোনো অধিকার নেই এতে হস্তক্ষেপ করার। বাংলাদেশের ৯ কোটি নারী এই কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। জামায়াতের মহিলা বিভাগের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।

এছাড়াও, তিনি জানান, এই কমিশনের সদস্যরা সমাজের সকল শ্রেণীর নারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। বিশেষ করে এখানে ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন কোনো নারী প্রতিনিধি নেই। তাই তিনি নারী কমিশনের প্রতিবেদন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান এবং ইসলামী চিন্তাশীল নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি পুনঃলিখনের দাবি জানান।