ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি: এনবিআর চেয়ারম্যান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 0 Views

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনগণ অনেক কম ট্যাক্স দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমরা ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি।” তাই বেশি ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায়ের জন্য অভিযান শুরু করা হবে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০২৫-২৬ সালের প্রাক-বাজেট সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং জনগণকে কর প্রদানে আরও সচেতন হতে হবে।

আবদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্স বেইস বড় করতে হবে। আমাদের ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী আছেন। রির্টান দেন ৪০ লাখ। তার মধ্যে ২৫-২৬ লাখই ট্যাক্স দেন না বা মিনিমাম ট্যাক্স দেন।

বাকি যারা আছে তাদের আমরা চেজ করতে পারছি না। এখন এটাকে নিয়ে নোটিশ করা হচ্ছে। আমাদের বড় বাধা হচ্ছে যে বিশ্বের মধ্যে এত কম ট্যাক্স কোনো জাতি দেয় না। এটা কিন্তু সত্য কথা। আমরা ৫২-৫৩ বছর ধরে প্রতি ঋণ নিয়ে নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করায় আমরা ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বেশি ভ্যাট ট্যাক্স আদায়ে অভিযান চালানো হবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের বাজেটে জনগণের লাইফ একটু ইজি করতে ব্যাপক সংস্কার থাকবে। আমাদের লোকজন যারা কাজ করেন তারা কিন্তু মাঠে খুব চষে বেড়াবেন। এর সঙ্গে আপনাদের সবাইকে কিন্তু লাগবে।

আমরা ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই বাংলাদেশের মানুষ আরো বেটার লাইফ ডির্জারভ করে। আমাদের সেই ক্যাপাবিলিটি আছে। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের ব্যয় বাড়লেও ভ্যাট আদায় বাড়ছে না। ফলে অর্থের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন পরিবর্তন করার ফলে এই সমস্যা আরো তীব্র হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে অটোমেটেড করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। করপোরেট ট্যাক্স আদায়ও অনলাইনে করা হচ্ছে। ট্যাক্স প্রদান সহজ করে সবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৩ কোটি টাকার ওপরের টার্ন অভার সহনশীল করা হবে।’

এর আগে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও শিল্প মালিকরা বক্তব্য দেন। এ সময় তারা স্থানীয় পর্যায়ে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কেরানীগঞ্জে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা

আমরা ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৮:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনগণ অনেক কম ট্যাক্স দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমরা ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি।” তাই বেশি ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায়ের জন্য অভিযান শুরু করা হবে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০২৫-২৬ সালের প্রাক-বাজেট সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং জনগণকে কর প্রদানে আরও সচেতন হতে হবে।

আবদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্স বেইস বড় করতে হবে। আমাদের ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী আছেন। রির্টান দেন ৪০ লাখ। তার মধ্যে ২৫-২৬ লাখই ট্যাক্স দেন না বা মিনিমাম ট্যাক্স দেন।

বাকি যারা আছে তাদের আমরা চেজ করতে পারছি না। এখন এটাকে নিয়ে নোটিশ করা হচ্ছে। আমাদের বড় বাধা হচ্ছে যে বিশ্বের মধ্যে এত কম ট্যাক্স কোনো জাতি দেয় না। এটা কিন্তু সত্য কথা। আমরা ৫২-৫৩ বছর ধরে প্রতি ঋণ নিয়ে নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করায় আমরা ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বেশি ভ্যাট ট্যাক্স আদায়ে অভিযান চালানো হবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের বাজেটে জনগণের লাইফ একটু ইজি করতে ব্যাপক সংস্কার থাকবে। আমাদের লোকজন যারা কাজ করেন তারা কিন্তু মাঠে খুব চষে বেড়াবেন। এর সঙ্গে আপনাদের সবাইকে কিন্তু লাগবে।

আমরা ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই বাংলাদেশের মানুষ আরো বেটার লাইফ ডির্জারভ করে। আমাদের সেই ক্যাপাবিলিটি আছে। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের ব্যয় বাড়লেও ভ্যাট আদায় বাড়ছে না। ফলে অর্থের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন পরিবর্তন করার ফলে এই সমস্যা আরো তীব্র হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে অটোমেটেড করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। করপোরেট ট্যাক্স আদায়ও অনলাইনে করা হচ্ছে। ট্যাক্স প্রদান সহজ করে সবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৩ কোটি টাকার ওপরের টার্ন অভার সহনশীল করা হবে।’

এর আগে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও শিল্প মালিকরা বক্তব্য দেন। এ সময় তারা স্থানীয় পর্যায়ে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন।