ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আবরার হত্যার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেলে নেই, ৬ মাস পর জানাজানি

আবরার হত্যার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেলে নেই, ৬ মাস পর জানাজানি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি জেল থেকে পালিয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্টের এই ঘটনা জানাজানি হয় ৬ মাসেরও বেশি সময় পর (২৪ ফেব্রুয়ারি)। কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু না বললেও আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ‘জেল পালানোর’ তথ্য ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেন।

ফাইয়াজ দাবি করেন, আসামি জেমির আইনজীবী আজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে না আসায় ‘পালানোর’ তথ্য তাদের জানানো হয়। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ফাইয়াজ প্রশ্ন তোলেন, ফাঁসির আসামি কনডেম সেলে থাকার কথা, পালায় কীভাবে? তিনি লেখেন, ‘‘পালানোর পরও এ তথ্য বাইরে না আসা এটাই প্রমাণ করে, আসামিকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি।’’

এ মামলায় পূর্বে থেকেই আরো ৩ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে বলেও জানান ফাইয়াজ। পোস্টে ওই আসামির নাম-ঠিকানাও দিয়েছেন তিনি। মুনতাসির আল জেমি, পিতা-আব্দুল মজিদ, মাতা-জোসনা বেগম, ঠিকানা: ৫/১ বাউন্ডারি রোড, নতুন বাজার, কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ।

এদিন বিকেলে আরেকটি পোস্টে ফাইয়াজ জানান, আজ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিপক্ষের আপিলের শুনানি হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ আছে বর্তমানে। আশা করছি, খুবই দ্রুত হাইকোর্ট থেকে রায় আসবে। যদিও এর পরে সুপ্রিমকোর্টে আপিল, রিভিউ এবং সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপসমূহ বাকি থাকবে। তারপরে রায় কার্যকর হবে।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকতউল্লাহর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়

আবরার হত্যার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেলে নেই, ৬ মাস পর জানাজানি

আপডেট সময় ১০:০৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি জেল থেকে পালিয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্টের এই ঘটনা জানাজানি হয় ৬ মাসেরও বেশি সময় পর (২৪ ফেব্রুয়ারি)। কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু না বললেও আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ‘জেল পালানোর’ তথ্য ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেন।

ফাইয়াজ দাবি করেন, আসামি জেমির আইনজীবী আজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে না আসায় ‘পালানোর’ তথ্য তাদের জানানো হয়। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ফাইয়াজ প্রশ্ন তোলেন, ফাঁসির আসামি কনডেম সেলে থাকার কথা, পালায় কীভাবে? তিনি লেখেন, ‘‘পালানোর পরও এ তথ্য বাইরে না আসা এটাই প্রমাণ করে, আসামিকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি।’’

এ মামলায় পূর্বে থেকেই আরো ৩ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে বলেও জানান ফাইয়াজ। পোস্টে ওই আসামির নাম-ঠিকানাও দিয়েছেন তিনি। মুনতাসির আল জেমি, পিতা-আব্দুল মজিদ, মাতা-জোসনা বেগম, ঠিকানা: ৫/১ বাউন্ডারি রোড, নতুন বাজার, কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ।

এদিন বিকেলে আরেকটি পোস্টে ফাইয়াজ জানান, আজ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিপক্ষের আপিলের শুনানি হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ আছে বর্তমানে। আশা করছি, খুবই দ্রুত হাইকোর্ট থেকে রায় আসবে। যদিও এর পরে সুপ্রিমকোর্টে আপিল, রিভিউ এবং সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপসমূহ বাকি থাকবে। তারপরে রায় কার্যকর হবে।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকতউল্লাহর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়।