রাজধানীর পুরান ঢাকায় যুবদল নেতা ও নবাবপুর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট ধোলাইখাল এলাকার একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের ওপর পা দেন। এতে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে ধাক্কা দিলে সম্রাটও প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন মিলে এই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের কল দিলে হাবিবসহ দুইজন ঘটনাস্থলে আসেন।
এরপর স্থানীয় লোকজন হাবিবসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে আটক করে রাখেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে আশপাশে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেলে থাকা মামুন বলেন, আমার বন্ধুকে মারধরের ঘটনা শোনার পর আমরা কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের আটকে রেখে মারধর করে। যুবদল নেতা ও নবাবপুর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন প্রায় ২০ মিনিট যাবত আমাদের লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই বংশাল, ওয়ারী ও সূত্রাপুর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনা ফেসবুকে ছাড়ানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার একটি ক্লাব ভাঙচুর করে। রাত ১টার দিকে ওয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। জবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় যুবদল নেতার বাড়ি ঘিরে রেখেছে র্যাব, পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।