ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড় Logo সবার আগে ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া Logo মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা Logo ঈদে ফাঁকা ঢাকার সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, আহত এক হাজার ৬৭০ Logo প্রধান উপদেষ্টাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় Logo যমুনা সেতুতে চলতি বছর টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড Logo আর্জেন্টিনার কাছে হারের জেরে দরিভালকে বরখাস্ত করল ব্রাজিল Logo দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন,সংস্কার আপনাদের কাজ না: আমীর খসরু Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, আহত ৭৩২ জন

মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 0 Views

রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ, মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। পবিত্র শবেবরাত ঘিরে গত সপ্তাহে বাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হলে মাছ ও মুরগির দাম বেড়ে যায়। এখন আবার মাছ ও মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা চালের দামও বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে।

পেঁয়াজ, আলু ও প্রায় সব ধরনের সবজির দরে স্বস্তি রয়েছে। বেশির ভাগ সবজি ২০ থেকে ৫০ টাকা কেজির মধ্যে কেনা যাচ্ছে। তবে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।

দাম কিছুটা কমে পাঙ্গাশ মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নলা মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং তিন থেকে চার কেজি ওজনের রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছোট মাছের মধ্যে চাষ করা কৈ মাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বড় গুলশা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
রামপুরা বাজারের জিহাদ ব্রয়লার হাউসের বিক্রেতা মো. বায়োজিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমে আসায় দামও কমেছে। এবার রমজানে মুরগির দাম বাড়ার শঙ্কা কম।’

জোয়ারসাহারা বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরেই আড়তে মাছের দাম কিছুটা কমতির দিকে। এতে আমরাও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা চাল বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। চিকন চাল (মিনিকেট) আগের চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা, ছোলা মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

জোয়ারসাহারা বাজারের বিক্রেতা মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার রোজা উপলক্ষে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। বরং ছোলার দাম পাইকারিতে কিছুটা কমেছে। মোটা চালের দামও বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এখন সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

সবজির বাজারে স্বস্তি : বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। শিম মানভেদে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড়

মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট

আপডেট সময় ১২:০৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ, মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। পবিত্র শবেবরাত ঘিরে গত সপ্তাহে বাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হলে মাছ ও মুরগির দাম বেড়ে যায়। এখন আবার মাছ ও মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা চালের দামও বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে।

পেঁয়াজ, আলু ও প্রায় সব ধরনের সবজির দরে স্বস্তি রয়েছে। বেশির ভাগ সবজি ২০ থেকে ৫০ টাকা কেজির মধ্যে কেনা যাচ্ছে। তবে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।

দাম কিছুটা কমে পাঙ্গাশ মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নলা মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং তিন থেকে চার কেজি ওজনের রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছোট মাছের মধ্যে চাষ করা কৈ মাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বড় গুলশা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
রামপুরা বাজারের জিহাদ ব্রয়লার হাউসের বিক্রেতা মো. বায়োজিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমে আসায় দামও কমেছে। এবার রমজানে মুরগির দাম বাড়ার শঙ্কা কম।’

জোয়ারসাহারা বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরেই আড়তে মাছের দাম কিছুটা কমতির দিকে। এতে আমরাও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা চাল বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। চিকন চাল (মিনিকেট) আগের চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা, ছোলা মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

জোয়ারসাহারা বাজারের বিক্রেতা মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার রোজা উপলক্ষে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। বরং ছোলার দাম পাইকারিতে কিছুটা কমেছে। মোটা চালের দামও বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এখন সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

সবজির বাজারে স্বস্তি : বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। শিম মানভেদে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা।