বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছেবলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্রদলের নেতারা এ কথা জানান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন পর, দীর্ঘ বছর পর সুশৃঙ্খলভাবে সবাইকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসতে পেরেছি। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনে যারা রয়েছে তারাও সুন্দরভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে। আপনারা অবগত রয়েছেন ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে ফুল দিতে এসে এখানে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজকে জাতীয় ছাত্রদল সুশৃঙ্খলভাবে ফুল দিয়েছে। আমরা নিয়ম মেনেই আজকে ফুল দিয়েছি।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ নেই। আমরা শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য কাজ করছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একটি ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা করছে। আমরা এগুলোকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করছি।
নাছির উদ্দীন বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মুক্তচিন্তার যে আবহ, যে ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ৫২ সালে শহীদরা আত্মত্যাগ করেছেন। সেই ধারাটি এখনো বহমান রয়েছে। সেদিনও সিলেটে এমসি কলেজে স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার জন্য একজন শিক্ষার্থী হামলা শিকার হয়েছেন। ১৯৫২ সালে যারা শহীদ হয়েছেন, মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য তারা তাদের নিজের অভিব্যক্ত প্রকাশ করেছিলেন। তখনও একটি পক্ষ তাদের মতামতকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
তিনি বলেছেন, জুলাই আগস্টের পরবর্তী সময়ে আমরা মনে করছি, বাংলাদেশে সবাই তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে।
‘সিলেটে এমসি কলেজে যে হামলা হয়েছে তা গণমাধ্যমে দেখেছি। একজন শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন যে, শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি, রগ কাটার রাজনীতি। সে বিষয়ে শিবিরের সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি দিয়েছে যে, রগ আমরা কাটিনি, তোমাদের দিয়ে রগ কাটা শুরু করব। তখন বক্তব্য পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে হুমকি দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একটি টিম ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে। সেই শিক্ষার্থী এখনো ভয়ের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন শিবিরের বিপক্ষে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। কখন না শিবিরের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের রগ কেটে দেয়।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মনে করি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একটি মুক্ত মনের আবহাওয়া থাকবে, সব মানুষ তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে। সেটি যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়। এটি আমাদের সবাইকে সচেতনভাবে খেয়াল রাখতে হবে।