নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম পৌর স্টেডিয়ামে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা কথা বারবার বলে আসছি। আমরা বলছি তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিন।
ভোট তাড়াতাড়ি হলে একটি সরকার আসবে। যে সরকারের পেছনে জনগণ থাকবে। আর জনগণ না থাকলে সে সরকার কী কাজ করতে পারবে? আজকের সরকার যত বড়ই হোক, পেছনে জনগণ থাকতে হবে। আমরা সেজন্যই বলছি আর বিলম্ব না করে নির্বাচন দিন।
তার জন্য যতটুকু পরিবর্তন করা দরকার, যতটুকু সংস্কার দরকার সেইটুকু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন। আজকে নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করতে হবে। প্রশাসনকে ঠিক করতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে ঠিক করতে হবে।
এটা ঠিক করুন। রোডম্যাপ দিন কবে কবে ভোট হবে, কবে সংস্কার শেষ হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবের মেয়ে গত ১৫ বছরে এদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা এবং প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিগত তিনটা নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারেনি।
রাতের বেলা সিল মেরে ব্যালট ভরে রাখা আর ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করেছে নিজেদের। সর্বশেষ ২০২৪ এর জানুয়ারিতে ডামি ইলেকশন করেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ ছিল আওয়ামী লীগ। এই হচ্ছে নির্বাচনের পরিস্থিতি। অর্থাৎ আমার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটা ধ্বংস করে দেওয়া।
গুম খুনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, লাকসামের বিএনপির প্রভাবশালী দুজন হিরু-পারভেজকে গুম করা হয়েছে। এই দুই নেতার খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের সন্তানরা আজ এখানে আছে। দীর্ঘদিন তারা তাদের বাবাকে দেখতে পায়নি। তারা প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকে তাদের বাবা ফিরে আসবে। এই যে কষ্ট বেদনা, আমাদের অসংখ্য নেতাকে গুম করে ফেলা হয়েছে।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমদ মানিক, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাদুল বারী আবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল অব. আনোয়ারুল আজীমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।